admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৭-১৮ ০৭:১৬:৪৪ || আপডেট: ২০১৭-০৭-১৮ ০৭:১৬:৪৪
মিলনকে দ্রুত খুঁজে বের করতে মন্ত্রীকে উপাচার্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ৫৫ দিন আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত খোঁজ না মেলায় মিলনের সন্ধানের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য মীজানুর রহমান রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মিলনকে দ্রুত খুঁজে বের করতে পুলিশের সব শাখাকে অবগত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়া হলেও মিলনকে খুঁজতে ‘দৃশ্যমান’ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
গত ১৩ জুলাই ক্যাম্পাসে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে মিলনকে খুঁজে বের করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিলনের সন্ধান না মেলায় সোমবার সকাল থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গত ২৩ মে ভোরে রাজধানীর আদাবরের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি মিলনকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে আটকের খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্বীকার করলে পরদিন মিলনের পরিবারের পক্ষ থেকে আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
জিডির পর তার সহপাঠীরা ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদকে জানালে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীদের জানান, ‘মিলন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আছেন’।
কিন্তু মিলনের মা-বাবা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে ডিবি কার্যালয়ে গেলে মিলন তাদের হেফাজতে নেই বলে জানান ডিবি কর্মকর্তারা।
পরে শিক্ষার্থীরা আবারও প্রক্টর নূর মোহাম্মদের কাছে গেলে তিনি অবস্থান পাল্টে বলেন, “আগের তথ্যটি ভুল ছিল। পুলিশ স্বীকার করছে না যে তাদের হেফাজতে মিলন আছে।”