admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৮-১৫ ১৫:২৬:১২ || আপডেট: ২০১৭-০৮-১৫ ১৬:৪৩:০২
বীর কণ্ঠ : স্কুলে ঝড়ে পড়া দরিদ্র যুবকদের সমাজে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম শহরে গড়ে তোলা হয় এসওএস যুবপল্লী। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে স্বাভাবিকভাবে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসলেও, বর্তমানে জোয়ার ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম।
সরেজমিনে দেখা যায়, হালিশহর আবাসিক এলাকার ‘এল’ ব্লকে অবস্থিত যুবপল্লীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। ভেতরে নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। কেন্দ্রের আঙিনাজুড়ে হাঁটু সমান পানি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেনো বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ! জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে জমেছে আছে শেওলা। কোথাও কোথাও শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা।
জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দুইটি ট্রেড কোর্সে ৩০ জন যুবক এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কিন্তু জলাবদ্ধতা স্থায়ী আকার ধারণ করায় ক্লাস করতে পারছেন না তারা। এতে নির্দিষ্ট সময়ে কোর্স শেষ হওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্থায়ী জলাবদ্ধতার ফলে শেওলাযুক্ত নোংরা পানিতে বাসা বাঁধছে মশা। এতে করে স্থানীয় এলাকাটিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও দেখা দিয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তাতে মেলেনি কোনো সাড়া। ফলে দুর্ভোগ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে যুবপল্লী ও তৎসংলগ্ন এলাকাটি।
এ বিষয়ে এসওএস চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ফয়জুল কবির জাগো নিউজকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে যুবপল্লীর কার্যক্রম। জোয়ার ও বৃষ্টির পানি কমার জন্য প্রকৃতির ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে আমাদের। রোদ উঠলে পানি কিছু টা কমলেও ভোগান্তিও বাড়ে। আগে সেখানে আমাদের বড় শিশু ও যুবকরা আবাসিকভাবে থাকলেও বর্তমানে তাদের সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ সিস্টেমে ত্রুটি রয়েছে। বিষয়টি সমাধানে বারবার সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক জাগো নিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত কেউ আমাকে এ সমস্যার কথা জানায়নি। যেহেতু এখন বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সেহেতু সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সূত্র: জাগো নিউজ।