চট্টগ্রাম, , রোববার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

admin

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক খানাখন্দে ভরা : দুর্ভোগে যাত্রী

প্রকাশ: ২০১৭-০৮-১৬ ১৬:১৪:৫১ || আপডেট: ২০১৭-০৮-১৬ ১৬:১৪:৫১

বীর কণ্ঠ : অসংখ্য খানাখন্দে ভরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার একাধিক স্থান। এ পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ১৭ ইউনিয়নের লাখো অধিবাসী ঝুঁকি নিয়েই কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে যাচ্ছে এ মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট, বোমাং হাট ও ঠাকুরদীঘি হাটসহ বিভিন্ন হাটে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব দেড়শ কিলোমিটার। অপরদিকে, চট্টগ্রাম শহর থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। ভারি বর্ষণ হলেই এসব সড়কে জমে যায় পানি। পানি জমার ফলে একাধিক স্থানে ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের চাকা থেকে ছিটকে পড়া কাদাযুক্ত পানিতে সড়কের পাশে চলাচল করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে পথচারীরা। পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও বান্দরবানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারও পর্যটকের আগমন হওয়ায় এ মহাসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বছরের বেশি ভাগই দেখা যায় সড়কের বেহাল দশা। একাধিক স্থানে বছরে একবার করে নামমাত্র সংস্কার হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বেশি দিন টেকে না সড়ক। সড়কটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়ার নয়াখাল, কেরানীহাট, চারা বটতল, মিঠাদীঘি, চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট, বাগিচার হাট, দোহাজারী ও লোহাগাড়ার রাজঘাটা, নোয়াপাড়া, পদুয়া, তজুমন্সির গ্যারেজ, বন্ধন কমিউনিটি সেন্টার, পুনাণ বিওসি, চুনতি বাজার, চুনতি ফরেস্ট অফিসসহ ৫০ কিলোমিটার অংশে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহর থেকে বান্দরবান যাওয়ার একমাত্র পথ হলো সাতকানিয়ার কেরানীহাট সড়ক। ফলে যাত্রী, পথচারী, যানবাহনের চালকরা গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটিতে চরম হতাশা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। সড়কে খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহনগুলো। এতে অকালে ঝরে যাচ্ছে হাজারও তাজা প্রাণ। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই।

উপজেলার সোনাকানিয়ার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, মহাসড়কে এতগুলো গর্ত, দেখেই মনে হয় এসবের কোনা কর্তৃপক্ষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কেরানীহাট থেকে আমিরাবাদ যেতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ধুলো-বালু আর কাদা পানিতে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায় ও গর্তে পড়ে গাড়িও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেরানীহাট এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একাধিক স্থান সংস্কারের নামে সরকারের যে বিপুল পরিমাণ টাকার ব্যয় হচ্ছে তার সুফল জনগণ ভোগ করছে কি না কর্তৃপক্ষের জানা দরকার। নিম্নমাণের বিটুমিন ও পাথর দিয়ে সংস্কার হওয়ায় বেশিদিন টেকে না এ সড়ক। এছাড়া বেশি গর্ত হলে তালি-পট্টিও দেয়া হয়। কিছুদিন পর আগের বেহাল চেহারায় ফিরে যায় মহাসড়ক।

সোহাগ পরিবহনের চালক মোহাম্মদ ইদি্রস ভুট্টু বলেন, সড়কের বেহাল দশা হওয়ায় এ মহাসড়কে যানবাহন নিয়ে আসতে মন চাই না। গত কয়েক মাস ধরে দেখছি গর্তে ভরা এ মহাসড়ক। গাড়ির ঝাঁকুনিতে কোমর ব্যথা হয়ে যায়।

দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া বলেন, মহাসড়কের ৭৭ কিলোমিটার অংশে প্রতিবছর একেক স্থানে গড়ে ১০ কিলোমিটার করে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বর্ষায় ভারী বর্ষণের ফলে কয়েক বছর আগে করা সংস্কার কাজের অংশে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি থামলেই কয়েকটি ট্রাক করে পাথর ও বিটুমিন মিশিয়ে একাধিক স্থানে মেরামত কাজ করানো হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বর্তমানে কোথাও কাজ করা যাচ্ছে না।

সূত্র : দৈনিক ই্তেফাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *