চট্টগ্রাম, , রোববার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

admin

“বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমা লীপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল ১৫ আগস্ট”

প্রকাশ: ২০১৭-০৮-১৬ ০৬:৪৬:৪৯ || আপডেট: ২০১৭-০৮-২৪ ১০:৪৫:৪৪

 
বেলাল আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি : 
‘‘ ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমা লীপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল”  জাতিয় শোক দিবস উপলেক্ষে লামা উপজেলা আওয়ামিলীগের উদ্যোগে  আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব বলেন ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ’র  সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
তিনি আরো বলেন, বহুকণ্টকময় পথ পাড়ি দিয়ে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি বরখাস্তকৃত লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) এবং লে. কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদকে (আর্টিলারি) ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। কিন্তু বিদেশে পালিয়ে থাকা অন্য খুনিদের এখনো দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে পারেনি সরকার।
পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন দেশের ১৬ কোটি মানুষের তপ্ত হৃদয়ে এখনো বইছে ক্ষোভের বহ্নি শিখা। বাকি খুনিদের দ্রুত ফাসিঁর দাবী করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *