admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৮-২৯ ১৮:৫১:২৯ || আপডেট: ২০১৭-০৮-২৯ ১৮:৫১:২৯
এম.হোছাইন মেহেদী, প্রিয় দেশ ম্যাগাজিনঃ ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের দিন নামাজ আদায়ের জন্য দলবেঁধে মসজিদে বা ঈদগাহে যায়। তবে মসজিদের তুলনায় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায়ে অধিকতর ফজিলত রয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত দেশে বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্টিত হয়ে আসছে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে। যার আয়তন মাত্র ৭ একর।
পক্ষান্তরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সীরাত ময়দানের আয়তন শোলাকিয়া মাঠের চেয়ে দ্বি-গুণের বেশি। এই সীরাত ময়দানেই অধ্যাত্বিক সম্রাট হয়রত শাহ হাফেজ আহমদ (রঃ) কর্তৃক প্রবর্তিত ১৯ দিন ব্যাপী সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্টিত হয়ে আসছে। সচেতন মহলের অভিমত, ১৯ দিন ব্যাপী সীরাত মাহফিলের মতো অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করতে পারলে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতও আয়োজন অসম্ভব নয়।
১৯ দিন ব্যাপী মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক ইবনে দীনার মুহাম্মদ নাজাত এ প্রসংগে জানান, ” এই বিশাল ময়দানে ঈদ জামাত আয়োজন অবশ্যই সম্ভব। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক উদ্যেগ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য।” সীরাত ময়দানে ঈদ জামাত আয়োজনে সীরাত কমিটির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতারা মনোভাব ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু বলেন,” দলমত নির্বিশেষে সকলে এগিয়ে এলে এই কাজটি করা যাবে অতি সহজে। এলাকা তথা দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে বৃহত্তম ঈদ জামাত চুনতি সীরাত ময়দানে আয়োজন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।”
চুনতি সীরাত ময়দানে ঈদ জামাত আয়োজনে বর্তমান তরুণ সমাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক লেখালেখি করছেন। তারা জনমত গঠণে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম বলেন, ” আমার কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব আসেনি, প্রস্তাব আসলে বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।”
অত্র এলাকা সাধারণ মানুষ আশা করছে, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসলে চুনতি সীরাত ময়দানে দেশের তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত আয়োজন সম্ভব। তারা মনে করছেন প্রচারণা অব্যাহত রাখলে হয়ত একদিন বাস্তবায়িত হবে এই স্বপ্ন।