admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৮-৩০ ০৫:৩৯:০৩ || আপডেট: ২০১৭-০৮-৩০ ০৫:৩৯:০৩
বি.কে বিচিত্র,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ পরিকল্পনায় বর্তমান সরকার প্রতিবছর দেশের কোমলমতি শিশু কিশোরদের জন্য লক্ষ লক্ষ বই ছাপার দায়িত্ব
দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)কে।তবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের
জীবন জীবিকা সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রাথমিক পাঠ্য বইয়ে কিছু সংযোগ হলেও প্রায়ই ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সম্পর্কে সংযোজন হয়নি,ফলে ওঠে অাসছে না জাতীয় পর্যায়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিচয়,এটা খুবই দুঃখের বিষয়।যারা প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো রয়েছে,সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃভাষা বই পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি না করে ক্ষোভ প্রকাশ সবারই।ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের জীবন জীবিকা নিয়ে গবেষণা করে এরকম অনেকেই পিএইচ ডিগ্রী লাভ করেছেন অথচ প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা সম্পর্কে জাতীয় পাঠ্য বইয়ে সংযোগ না করে,কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জানার জন্য পঞ্চম শ্রেণি বাংলা বইয়ে প্রথম অধ্যায়ে ”এই দেশ এই মানুষ”পৃষ্ঠাতে “তঞ্চঙগা ” বানানটি ভুল, সঠিক বানান(তঞ্চঙ্গ্যা),চতুর্থ শ্রেণি বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় ৩য় অধ্যায়ে ১৭পৃষ্ঠাতে ছবি অাকারে “পাঙেখা” বানানটি ভুল, সঠিক বানান(পাংখোয়া)হবে।অাশা থাকবে দেশের এতো শিক্ষক,গবেষক,সাহিত্যিক,বিজ্ঞজন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের সংস্কৃতি, ইতিহাস নিয়ে যারা লেখালেখি করেন তারা এই ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।এমনিতেই অাদিবাসী থেকে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী পদবী দিলেন দেখি অাগামী দিনে সরকারের নতুন কিছু উদয় হয় কি না।তাই অাশা রাখি যারা এখনো প্রান্তিকতায় রয়েছে তাদের জীবন জীবিকা সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে অারো নতুন কিছু সংযোজন করে অামাদের তথা দেশের মহৎ শিক্ষা জ্ঞানের জগৎকে এগিয়ে নেবেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাস্টার্স’র ছাত্র স্বরণ বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সঠিক তথ্য ও তদন্তের মাধ্যমে সংশোধনের আহ্বায়ন করছি।