admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০২ ১৮:০৫:৪২ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০২ ১৮:০৯:০৬
সুজন দাশ, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম: “রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে যেখানে বিপদে পড়বি আমাকে স্মরণ করবি, আমিই রক্ষা করবো” যিনি তাঁর ভক্তের প্রতি এমন নির্ভরতার বাণী উচ্চারণ করেছেন, তিনি আর কেউ নন শিব কল্প তরু, মহাযোগী, পূর্ণবহ্ম,ত্রিকালদর্শী শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কাচলা গ্রামে যার জন্ম, পরবর্তীতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আশ্রয়স্থল। সেই ত্রিকালদর্শী লোকনাথা বা ২৮৭তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে বাঁশখালী উপজেলার বাণীগ্রামে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে। যেটি
আজ বিকাল ০৩ ঘটিকার সময় ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে শুভারম্ভ হয়।
অন্যান্য অনুষ্ঠান মালার মধ্যে রয়েছে ০৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে শ্রী চন্দন দাশের পরিবেশনায় শ্রী শ্রী গীতাপাঠ আর গোধূলী লগ্নে অধিবাস কীর্তন, ০৪ সেপ্টেম্বর, সোমবার উষালগ্নে অষ্ট প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের শুভারম্ভ সাথে রয়েছে আগত ভক্তগনের জন্য মহা প্রাসাদের ব্যবস্থা।
আজ মহতী ধর্মসভা উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথানন্দ পুরী মহারাজ, অধ্যক্ষ শ্রী শ্রী জগন্নাথ ঋষি আশ্রম,লামা বান্দরবান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা।
আলোচনা সভায় বিশিষ্ট ধর্মীয় আলোচক অধ্যাপক শ্রী রুপন চৌধুরী তাঁর আলোচনায় বলেন, পৃথিবীর কোন ধর্মের গ্রন্থই জাতিগত বিভেদের কথা বলে না, বিভেদ আমরা তৈরী করি। ধর্মের কথা আমরা না বুঝেই ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করি, ফলে আমরা তা ভালো ভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারি না।
তিনি লোকনাথ বাবা প্রসঙ্গে বলেন এই মহাপুরুষ ছিলেন কোন ধর্মের নয় পুরো মানব জাতির। প্রধান অতিথি বক্তব্যে জনাব মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন কে কোন ধর্মের সেটা আমার কাছে কোন বিবেচ্য বিষয় নয়, আমার কাছে বিবেচ্য বিষয় হলো মানুষ। মানুষ মানুষের জন্যে। বাঁশখালীতে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সহাবস্থান ছিলো থাকবে। যারা এর ব্যত্যয় ঘটাবেন তাদের কঠোর হস্থে দমন করা হবে।
উক্ত ধর্মীয় আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রী দীপংকর দে।