admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০৪ ০৮:১৪:১৩ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০৪ ০৮:১৪:১৩
বিশেষ প্রতিনিধি : বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন লামা উপজেলার অাজিজনগর গজালিয়া সড়কটি বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালকদের কারনে মৃত্যুপরীতে পরিণত হয়েছে। অপরিপক্ষ,অদক্ষ চালকদের কারনে প্রতিদিন বাড়ছে দূর্ঘটনা। উল্লেখ্য যে, বিগত সরকারের অামলে অাজিজনগর গজালিয়া সড়কটি গাড়ী চলাচলের জন্য বেশ ঝুকিপূর্ন ছিল বিধায় গাড়ীর ক্ষতির কারনে মালিকরা জ্বীপ চলাচল প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল।শুধু দু একটি যা ছিল তাও অনেকটা অনিয়মিত এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে চিউনীপাড়ার মহসীন ও রবিউল গত ২০১১ সালের দিকে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের যাত্রা করেন। তাদের সফলতা দেখে প্রতিদিন নতুন নতুন চালকদের মোটর সাইকেল যোগ হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষদের প্রধান ও নির্ভরশীল বাহনে পরিনত হয়েছে। এরি মাঝে জ্বীপ মালিক সমিতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, লামা-বরাবর অভিযোগ করে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের উপর নিষেধাজ্ঞা এনেছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা? ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কারনে বাহির থেকে অাসা লোকজন মোটর চালকদের কোন সুনির্দিষ্ট পোষাক না থাকায় অনেক সময় সামনে যাকে পায় তাকেই সিগন্যাল দিয়ে বলে যাবেন? এ বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে অাজিজনগর ইউ,পি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন কোং সহ অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিরা। মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামলেই সিগন্যাল দিয়ে বলে যাবেন? পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এম,পি নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়নে অাজিজনগর হতে লামা সংযোগের গজালিয়া ডি,সি রোড়ের প্রায় অাশি ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে। শুধুমাত্র বর্ষার কারনে বাকী কাজ অাটকা পড়ে অাছে। অাজিজনগর হতে প্রায় ৭মাইল পর্যন্ত রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে শুস্ক মৌসুমে সময় লাগতো ১থেকে দেড় ঘন্টা সেখানে ১৫ মিনিটে যে কোন মৌসুমে পৌছা যায়। শুধু তাই নয় রাস্তার সাথে সেখানে বিদ্যুত ও পৌছে। কিন্তু সেই উন্নয়নে যোগ হয়েছে ভিন্নমাত্রা!! রাস্তার চেহারা বদলে যাবার কারনে এখানকার যুব সমাজ মোটরসাইকেল চালানোকে প্রধান পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।দিনমজুর-স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র এমনকি কিছু বয়স্ক লোকরা এ পেশার উপর নির্ভরশীল হয়ে এ সংখ্যা প্রায় ২০০ অতিক্রম করেছে। অাজিজনগর গজালিয়া সড়ক,তেলুনিয়া,হিমছড়ি,কোরবানিয়া ঘোনা,উত্তরপাড়া, ভিলেজারপাড়া বিভিন্ন সড়কে এদের লাইন চালু আছে। অনেক মোটর সাইকেলের ডকুমেন্ট নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। বেশিরভাগ চালকদের কোন নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স,নেই চালানোর দক্ষতা,যার কারনে প্রতিদিন বাড়ছে দূর্ঘটনা। এরা এতবেশি গতিতে চালায় যে, এখানকার প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকেন।কিছু কিছু বখাটে চালক কর্তৃক স্কুল কলেজগামী ছাত্রীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয় বলে জানা গেছে। রাস্তায় বের হলে নিরাপদে চলাচল করা যায়না,বখাটে অপরিপক্ষ চালকরা কোন কিছুকে তোয়াক্ষা না করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ী চালিয়ে প্রতিদিন দূর্ঘটনা ঘঠাচ্ছে।বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অাজিজনগর চাম্বি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ,বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়,চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,তামীরে মিল্লাত ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা,ইসলামপুর বি-অালম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ছাত্র;ছাত্রীদের নিরাপদ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,লামা, অাজিজনগর ইউ,পি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন কোং,সহ প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়াই এখন এ সড়কে সি,এন,জি মাহিন্দ্রা,ও ম্যাজিক গাড়ীতে যাত্রি সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোটর সাইকেল চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় প্রতিদিন এ দূর্ঘটনা বাড়ছে।।এখন সেটা প্রতিরোধ না করলে দিন দিন বাড়বে মৃত্যুর মিছিল।তাই অপরিপক্ষ, অদক্ষ,লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অাজিজনগর ইউ,পি চেয়ারম্যান,পুলিশ প্রশাসন,ও মোটর সাইকেল চালকদের সংগঠন অাজিজনগর যুবকল্যাণ সমিতি এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে বিহিত ব্যবস্হা গ্রহন করবে এমন ধারনা অাজিজনগরবাসীর।