admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-০৯ ০৭:৩২:০২ || আপডেট: ২০১৭-০৯-০৯ ০৭:৩২:০২
বেলাল উদ্দিন : বাংলাদেশ।যেখানে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা এমনিতেই অনেক বেশি,সেখানে নতুন করে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা এই ছোট্র দেশটিতে ঢুকে পড়েছে।মুসলিম প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমরা পারছিনা তাদেরকে ফিরিয়ে দিতে আবার পারছিনা দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকির কারনে তাদেরকে স্থায়ী বাসিন্দা করতে।এহেন উভয় সংকটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সিদ্ধান্ত অবশ্যয় প্রসংশনীয়।তিনি নিপিড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে জাতিসংঘকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে সহিংসতার মুখে জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দিয়েছেন আশ্রয়। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নিয়েছেন চতুর্মুখী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রীর এসব উদ্যোগ বিশ্ব গণমাধ্যমেও প্রশংসিত হচ্ছে।যেখানে প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত সেখানে তার নিজ দলের অনেকেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় ব্যস্ত।গত কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রান সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান।তিনি একটি মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে মানবিক কারনে আসতেই পারেন। তার আসাকে কেন্দ্র করে অনেকেই সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে।যা অত্যন্ত আমানবিক। আবার আমরা দেখি অনেকেই অতি আবেগের তাড়নায় বলে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী বাসস্থান দিতে।যা একটি দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকি বলে মনে করি।অপরদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন,সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও অহেতুক সমালোচনার অংশ।প্রশ্ন হচ্ছে এই সমস্যা সমাধানে বিএনপি কি উদ্দ্যোগ নিয়েছে?নাকি সরকারের সমালোচনা করায় এদের কাজ। আমি মনে করি মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করার কথা শেখ হাসিনা তাই করছেন। দুঃসময়ে আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দিকে। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন, নিরীহ জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর হামলা বন্ধ করতে বিশ্ব জনমতও তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
লেখক : শিক্ষার্থী