admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১০ ১৯:৫৪:৫১ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১০ ১৯:৫৪:৫১
বীর কন্ঠ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের সঙ্গে এক বৈঠকে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে এবং ওআইসি’র মতো সংগঠনগুলোর সহায়তায় একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) কাজাখস্তানের রাজধানীতে ওআইসি সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরদোগানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে আবদুল হামিদ বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের এ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য জাতিসংঘ অথবা ওআইসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তোলা যেতে পারে।’ রাষ্ট্রপতি মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নীপিড়ন থেকে বাঁচার জন্য মিয়ানমার থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। এ জনস্রোত ঘন জনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে এবং পূর্বপুরুষের ভূমিতে তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে তুরস্কের নেতার পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে সম্প্রতি তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের জন্য এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, তুরস্ক ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় বাংলাদেশে এক হাজার টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে। তিনি অবিলম্বে আরো ১০ হাজার টন ত্রাণ সাহায্য পাঠাবেন বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে আশ্বাস দেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য অন্যান্য দেশগুলোও যেন সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে পারে সে জন্য ইস্তাম্বুল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানান এরদোগান। বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আস্তানা বিজ্ঞান সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ, ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমীন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ও ওআইসিভুক্ত প্রায় ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।