admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-১০ ১৩:৪৩:৪৪ || আপডেট: ২০১৭-০৯-১০ ১৪:১৩:১৫
লোহাগাড়া অফিস: লোহাগাড়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া বটতলী মোটর স্টেশনসহ আশ পাশের এলাকায় ব্যাপক হারে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত রিকশা। আর এসব রিক্সার চালকদেরকে জিম্মি করে নিবন্ধনহীন ‘শাহ্পীর রিকশা মালিক ও চালক সমিতির’ নামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা।
জানা গেছে, লোহাগাড়ায় অন্তত ৬শ টি ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করছে। এসব রিক্সা নিম্নমানের বডি এবং প্রয়োজনীয় ব্রেকের অভাবসহ নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। এছাড়াও অনভিজ্ঞ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী জানিয়েছে, এসব রিক্সার ব্যাটারি চার্জ করার জন্য বিদ্যুতের অবাধ ব্যবহারের কারণে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়ে গেছে। ফলে উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লোডশেডিং। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছেন।
নিবন্ধনহীন শাহ্পীর রিকশা মালিক ও চালক সমিতিটি রিকশা চালকদের নিয়ন্ত্রণও করছে। প্রতিটি রিকশাকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত হতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং এককালীন ৩ হাজার টাকা ফি দিয়ে সমিতিতে অন্তর্ভুক্তি দিতে হয় বলে জানিয়েছেন চালকরা। অন্তর্ভু্িক্তর পর সমিতির নাম সম্বলিত একটি প্লেট রিকশার পেছনে লাগিয়ে দেয় তারা। ওই প্লেটে সমিতির সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকের স্বাক্ষর রয়েছে। এছাড়াও প্রতি মাসে ৩শ টাকা চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে প্রত্যেক রিকশা চালকের কাছে দেয়া হয় একটি করে টোকেন। টোকেনের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩শ টাকা করে সমিতিকে দিতে হয় প্রতিজন চালককে। টোকেনে সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৪ জনের নাম ও মোবাইল নম্বর লেখা রয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, ৩শ টাকা করে ৬শ রিকশা থেকে প্রতি মাসে আদায় হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে শাহ্পীর রিকশা মালিক ও চালক সমিতির সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন জানায়, চালকদের থেকে আদায়কৃত চাঁদার টাকা বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হয়।
তবে কোন কোন খাতে এসব টাকা ব্যয় করা হয় -তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ট্রাফিক সার্জন সাইফুল ইসলাম জানান, এ সমিতির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। টোকেনের ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সা বেশির ভাগেরই ব্রেক দুর্বল। দ্রুত গতিতে চলার সময় সামনে কিছু পড়লে এ যানটি আর আটকানো যায় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরও মানুষ অসহায় হয়ে এসব যানবাহনে চলাচল করছে।