চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

লোহাগাড়ায় ডাক্তার নিয়ে মিছবাহ উদ্দিন রাজিবের ফেসবুক ষ্ট্যাটাসে তোলপাড়..

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২০ ১৫:৫৭:০৯ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২০ ১৬:৪৬:৫১

 

লোহাগাড়া দোকান কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মিছবাহ উদ্দিন রাজিব অাজ ২০ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক অাইডিতে দেওয়া ডাক্তার বিষয়ক পোষ্টটি নিয়ে লোহাগাড়ায় তোলপাড় হয় যা নিন্মে হুবহু তুলে ধরা হল।

 

। একটি নির্মম সত্য” অামি লজ্জিত অামি লোহাগাড়াবাসী গত জুমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সি-সাইড হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারিতে অামাদের একটি পুত্র সন্তান হয়েছে। খুব ইচ্ছে ছিল ডেলিভারি টা অামার জন্মস্থান লোহাগাড়াতে করার জন্য, তাই শুরু থেকেই অামি লোহাগাড়ার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে স্ত্রী কে চিকিৎসা করিয়েছি। বাচ্চা মায়ের গর্ভে থাকা কালে ৭ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত ডাক্তার তাকে দিয়ে ৩ টা অালট্রাসোনোগ্রাফি করিয়েছে শুধু মাত্র পজিশন টিক নেই এবং বাচ্চা দূর্বলের কথা বলে।

 

উক্ত ডাক্তারে সাথে অালট্রাসোনোগ্রাফি ডাক্তার ও টেকনেসিয়ান একি ধরনের কথা বলে। এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে অামার স্ত্রী ভয়ে সম্পূর্ণ মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে, তার অবস্থা দেখে অামিও টেনশনে পড়ে যায়। ঠিক তখনি আমার এক ঘনিষ্ট ডাক্তারের কাছে গেলাম উনাকে বিষয়টি খুলে বললাম, উনি বললেন ৭ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত বাচ্চার পজিশন ঠিক থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই,একটু এদিক সেদিক হতেও পারে। পজিশন ঠিক হয় ডেলিভারির কিছু দিন অাগে অথবা ডেলিভারি হওয়ার অাগ মূহুর্তে।

 

ডাক্তারেরা ভয় দেখিয়ে রোগী কে মানসিক ভাবে দূর্বল করে ফেলতেছে যাতে প্রসবের সময় বাচ্চাটি স্বাভাবিক ভাবে মুভ না করে। ফলে বাধ্যতামূলক সিজার করাতে হবেই। উনার পরামর্শ মত ১৫দিন অাগে স্ত্রী কে নিয়ে কক্সবাজার শশুর বাড়ীতে চলে গেলাম। সেখানে অামার পরিচিত ডাঃ জমিলাকে দেখালাম, তিনি চেকআপ করে অাগের প্রেসক্রিপশন গুলো দেখে অবাক হয়ে বললেন অাপনার স্ত্রীর তো রক্ত শূন্যতা ছিল, কিন্তু রক্ত বৃদ্ধির জন্য ডাক্তার এতদিন কোন ঔষুধ দেয়নি কেন? তিনি নিশ্চিত সিজার করাতে চেয়ে ছিলেন। তারপর ডা: জমিলা রক্ত বাড়ার জন্য ঔষুধ দিলেন এবং নতুন করা অালট্রাসোনোগ্রাফি রিপোর্ট দেখে বললেন চিন্তার কিছু নেই অাল্লাহর রহমতে নরমাল ডেলিভারি হবে এবং বাচ্চাও স্বাভাবিক অাছে।

 

একটু টেনশন মুক্ত হলাম, ঠিক ১৫ দিন পর উক্ত হসপিটালে অালহামদুলিল্লাহ অামার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি হল, মাত্র এক রাত ঐ হসপিটালে ছিলাম। অাল্লাহর রহমতে এখন মা ছেলে দুইজনই সুস্হ অাছে। কষ্ট পেলাম এবং লজ্জিত হলাম লোহাগাড়ার মানুষ হয়েও কেন অাজকে অামাকে কক্সবাজারে অামার সন্তানের ডেলিভারি করাতে হল, লোহাগাড়ায় এত গুলো হসপিটাল থেকে কি লাভ ?এই লজ্জা কার?

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *