চট্টগ্রাম, , শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

admin

কোন মনোযোগই পাচ্ছেন না বান্দরবানের রোহিঙ্গারা

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২৪ ১০:৫২:২১ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২৪ ১০:৫৪:৩৪

বীর কন্ঠ ডেস্ক : বাংলাদেশে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের জেলা প্রশাসন বলছে সেখানকার চাকঢালা সীমান্তে চারটি অস্থায়ী ক্যাম্পে ২২ হাজারের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন।

 

তাদের কাছে ত্রাণ খুবই কম পৌঁছেছে। সেখানে রেড ক্রস ছাড়া কোন সাহায্য সংস্থা কাজ করছে না।

 

কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের দিকে যেভাবে দৃষ্টি পড়ছে সবার বান্দরবানের রোহিঙ্গারা সেরকম কোনো মনোযোগই পাচ্ছেন না বললেই চলে।

 

বান্দরবানের স্থানীয় সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু জানিয়েছেন, একটি প্রধান কারণ হলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা।

 

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার সড়ক পথে মাল নিয়ে যাওয়ার পর আরো প্রায় সাত কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয় শরণার্থীদের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পর্যন্ত যেতে হয়।

 

এই দুর্গম এলাকা অতিক্রম করে কেউই সেখানে যেতে চাইছে না। সেখানে ত্রাণ পৌঁছানোর খরচও অনেক বেশি।

 

ফলে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, আশারতলী, বড় ছনখোলা, সাপেরঝিড়ি এসব এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলোতে ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না।

 

সেখানে যেসব রোহিঙ্গারা আছেন তাদের সাথে রেড ক্রিসেন্ট কিছুটা কাজ করছে।

 

তবে তাদেরও ত্রাণের গুদাম কক্সবাজারের উখিয়াতে। তারা সেখান থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি গিয়ে ত্রাণ বিলি করছেন।

 

অন্য কোন সাহায্য সংস্থা সেখানে একেবারেই কাজ করছে না।

 

আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে মিয়ানমারে নতুন করে রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা শুরুর পর থেকে চার লাখের বেশি শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

 

মনিরুল ইসলাম মনু জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের প্রবেশের হার এখন কমে গেছে তবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে এখনো প্রতিদিন কয়েকজন করে প্রবেশ করছেন।

 

যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ছাড়াও বান্দরবানে বিদেশীদের প্রবেশে যে কড়াকড়ি রয়েছে সেটিও বিষয়টির উপর প্রভাব ফেলেছে।

 

সে কারণে বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর ওদিকে কাজের আগ্রহ কম বলে জানা যাচ্ছে।

 

বিদেশিদের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতির যে বিষয়টি রয়েছে তাতে বেশ সময় লেগে যায়।

 

বান্দরবানের রোহিঙ্গাদেরও কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার যে কথা ছিলো তাতেও অনেক সময় লাগবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

 

-বিবিসি বাংলা

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *