চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

admin

রোহিঙ্গাদের বাঙালি বানানোর কুপরিকল্পিত বর্মী কৌশল

প্রকাশ: ২০১৭-০৯-২৬ ২৩:৫৯:৫৬ || আপডেট: ২০১৭-০৯-২৬ ২৩:৫৯:৫৬

কাফি কামাল :আরাকানের ভূমিপুত্র রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া করতে নানা সুপরিকল্পিত কৌশলে এগিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সেনা নিয়ন্ত্রিত সুচি’র পুতুল সরকার। প্রচার-প্রোপাগান্ডায় তারা রোহিঙ্গাদের আখ্যায়িত করে ‘বাঙালি’ ও ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’। বর্বরদের দেশ মগের মুল্লুকের খুনে সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আরাকানে সেনা অভিযানের মাধ্যমে গণহত্যার শুরুতেই দেয়া বিবৃতিতে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে। মিয়ানমারের সরকারের ভাষ্য ছিল রাখাইনের টং বাজার গ্রামটি ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’রা অবরোধ করেছিল। ২৭শে আগস্ট রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লিখিত বার্মিজ সেনাবাহিনীর বিবৃতির ভাষ্যে বলা হয়, প্রায় ‘৮০০ বাঙালি টেরোরিস্ট’কে তারা মোকাবিলা করেছে। রোহিঙ্গাদের বাঙালি সন্ত্রাসী উল্লেখ করে নিয়মিত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছেÑ মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার, দৈনিক মিয়ানমার টাইমস, ফ্রন্টিয়ারসহ দেশটির প্রায় সব গণমাধ্যম। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ বলায় দফায় দফায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক ঢিলে দুইপাখি মারতে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকৌশল করে আসছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের চাপে ফেলে তাদের বাঙালি পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত ও অভিবাসী সাজাতে নেয়া হয়েছিল আরেকটি উদ্যোগ। রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছোট্ট একটি অংশকে চাপে ফেলে বাঙালি পরিচয় মেনে নিতে বাধ্য করেছিল। স্মার্টকার্ডের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ছবি তুলে তাদের গছিয়ে দেয়া হয়েছে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড বা এনভিসি। এনভিসিতে রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা ‘বাঙালি’, গোত্র ‘বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। এনভিসির ৭ নম্বর পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের ভাষা ‘বাংলা’ এবং ১০ নম্বর পয়েন্টে তাদের জাতীয়তা আগে ‘বাঙালি’ উল্লেখ করা হয়। প্রথমে দেয়া কার্ডের ফরমগুলো বার্মিজ ভাষায় পূরণ করা হলেও পরে ফরমে পরিবর্তন এনে পূরণ করা হয়েছে বাংলায়। এনভিসির মাধ্যমে শর্তযুক্ত বসবাসের অনুমতি ও সীমিত সুবিধা পেলেও রুদ্ধ করা হয়েছে তাদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ। অন্যদিকে এই কার্ডধারীদের দেখিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় আন্তর্জাতিক মহলে। বিশ্ববাসী জানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ অভিবাসী হয়েছিল। রোহিঙ্গাদের বাঙালি প্রমাণে এ বিষয়টিকেও ব্যবহার করে মিয়ানমার। তারা মিথ্যা প্রচারণা চালায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের দেশে অভিবাসী হয়েছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু সে সংখ্যা এতই অল্প যে, তারা এ প্রচারণা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি।

প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিঙ্গারা কি বাঙালি? রোহিঙ্গারা কি অভিবাসী? রোহিঙ্গারা নাফের উত্তরের মানুষের কাছে ‘বার্মাইয়া’ আর নিজ জন্মভূমি দক্ষিণপারের মগদের কাছে ‘বাঙালি’ বা ‘বাংলাদেশি’। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পৃথিবীতে এককালে আরাকান নামে একটি স্বাধীন দেশ ছিল। বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ নিয়ে ছিল সে দেশটির অবস্থান। ১৪০৬ সালে মিয়ানমার রাজা আরাকান আক্রমণ করলে আরাকানের রাজা নরমিখলা বাংলার রাজধানী গৌড়ে এসে আশ্রয় নেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে (কথিত) তিনি সোলায়মান শাহ নাম ধারণ করেন। ১৪৩০ সালে গৌড়ের সহায়তায় আরাকান পুনরুদ্ধার করেন। ১৫৩০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০০ বছর গৌড়ের সুলতানকে কর দিতো আরাকান। ১৫৩০ সালের পর গৌড়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগে আরাকান স্বাধীন হয় এবং ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত আরাকান ম্রাউক উ রাজবংশের অধীনে শাসিত হয়। দীর্ঘ এ সময় পর্যন্ত আরাকানের সব শাসক তাদের নামের সঙ্গে মুসলিম উপাধি ব্যবহার করতেন। গৌড়ের অনুকরণে তাদের মুদ্রার এক পিঠে আরবিতে কালিমা ও রাজার মুসলিম নাম ও তার ক্ষমতা আরোহণের সময় উল্লেখ থাকতো। সরকারি ভাষা ছিল ফার্সি এবং সৈনিকদের প্রায় সবাই ছিল মুসলমান। পরে অবশ্যই জেজুক শাহ’র আমলে পর্তুগিজ ও ম্রাইমাদের সমন্বয়ে গঠিত তার নৌবাহিনী জলদস্যুতে (ইতিহাসের মগ জলদস্যু) পরিণত হলে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট ও মিয়ানমারের শকুনি দৃষ্টিতে পড়ে। ১৭৮৪ সালে বার্মার রাজা ভোদাপায়া আরাকানের দক্ষিণাংশ নাফ নদীর দক্ষিণ তীর পর্যন্ত দখল করে নেয়। নাফ নদীর উত্তরাংশ চলে আসে বাংলার অধীনে। চূড়ান্তভাবে বিলুপ্তি ঘটে স্বাধীন আরাকানের। তারপর থেকেই দক্ষিণের বড় অংশটি (বর্তমান রাখাইন) বার্মার অধীনে শাসিত হয়। স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্রের উত্তরাংশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষ যেমন জীবিকার তাগিদে দক্ষিণাংশের মংডু, আকিয়াবে বসতি গড়েছে তেমনি ওই অংশের মানুষও বসতি গড়েছে উত্তরাংশে। নিজ দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রাপ্ত যাওয়া কোনোভাবেই অভিবাসন নয়। ভারতবর্ষ ও বার্মা যখন বৃটিশদের হাতে শাসিত হয়েছে তখনও তা ছিল শাসনব্যবস্থার দিক থেকে একদেশ। সে সময়ও জীবন-জীবিকার তাগিদে আরাকানের মানুষের একদিক থেকে অন্যদিকে বসবাস অভিবাসন নয়।

বঙ্গ তো দূরের কথা রোহিঙ্গারা যে চট্টগ্রাম থেকেও আরাকানে অভিবাসী হয়নি আরেকটি ঐতিহাসিক প্রমাণ হচ্ছে বৃহত্তর চট্টগ্রামের চাটি ও রোঁয়াই সামাজিক দূরত্ব। এখনও চট্টগ্রামে রোয়াং বলতে আরাকান এবং রোঁয়াই বা রোহিঙ্গা বলতে আরাকানের অধিবাসীকে বোঝায়। চট্টগ্রামের আদি অধিবাসীরা নিকট অতীতেও আরাকান থেকে এসে বসতি স্থাপনকারীদের রোঁয়াই বলে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেন। এখনও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলের আদি বাসিন্দারা নিজেদের চাটি ও আরাকান থেকে এসে এ অঞ্চলে বসতি স্থাপনকারীদের রোঁয়াই সম্বোধন করে থাকেন। তাহলে রোহিঙ্গা কারা? ভাষাতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিকভাবে রাখাইং শব্দটিই বিকৃত হয়ে রোহিঙ্গা শব্দের উৎপত্তিÑ এমন মতগুলোই জোরালো। সত্যেন্দ্রনাথ ঘোষাল ও আহমদ শরীফের মতো প-িতদের মতে, আরাকানের শেষ রাজধানী ম্রোহং; এর সাধারণ উচ্চারণ রোহাং। এ রোহাংয়ে বসবাসকারী আরব বণিক, নাবিক, ইসলাম প্রচারক, গৌড়ীয় মুসলিম সৈন্য এবং বাংলার অপহৃত দাসদের বংশধররাই রোহিঙ্গা। সে হিসেবে রাখাইনের নৃ-তাত্ত্বিক একটি জাতি রোহিঙ্গা। আরাকানের চন্দ্রবংশীয় রাজবংশের সংরক্ষিত ইতিহাস ‘রদজাতুয়ে’র তথ্য সাক্ষ্য দেয় আরাকানে ৭ম শতকে আরব বণিকদের মাধ্যমে মুসলিম বসতি গড়ে উঠে।

বৃটিশ শাসন অবসানের সময় আরাকান পূর্বপাকিস্তানের (বাংলার) সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলেও বৃটিশদের কূটকৌশল ও পাকিস্তানপন্থি নেতাদের অনীহার কারণে সেটা হয়নি। ১৯৪৮ সালে বৃটিশ শাসন থেকে মিয়ানমার স্বাধীন হলে নাফের দক্ষিণাংশের আরাকানকে মিয়ানমারের ভাগেই দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী অভিবাসী বলা যায়, ১৯৪৮ সালের পর কেউ বাংলাদেশ থেকে গিয়ে আরাকানে বসবাস শুরু করলে তাদের। প্রশ্ন হচ্ছে, নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তাহীনতা; অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা; শিক্ষা-চিকিৎসা-মানবাধিকারহীন গিনিপিগের দেশ আরাকানে কিসের আশায় বা কোন দুঃখে অভিবাসী হবে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ! ইতিহাসের যুক্তিগুলো বিবেচনায় নিলে বার্মিজরা কোনোদিনই রোহিঙ্গাদের অভিবাসী বলতে পারে না। সে জন্য কৌশলে তারা ইতিহাসের এ বিষয়গুলো মুছে ফেলতে চায়। কারণ আরাকানের দক্ষিণাংশের (বর্তমান রাখাইন) বাসিন্দা হোক বা উত্তরাংশের (বৃহত্তর চট্টগ্রাম) বাসিন্দা হোক না কেন রোহিঙ্গারা বাঙালি নয়, তাদের জাতীয়তা আরাকানি। আধুনিক বিশ্বে ‘আদিবাসী’ শব্দটি স্বীকার করতে চায় না অনেক দেশ। একইভাবে রোহিঙ্গাদেরও রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করতে চায় না মিয়ানমারÑ অভিবাসী বাঙালি মুসলমান বলে। এ আপত্তির ভেতরেই লুকিয়ে আছে প্রকৃত সত্য, স্বীকৃতি। রোহিঙ্গা বললেই প্রমাণ হয় তারা আরাকানের ভূমিপুত্র।

রোহিঙ্গাদের ভাষা কি বাংলা? বাংলাদেশের কোনো মানুষই বলবে না তারা বাঙালি। কেউ বলবে না তাদের ভাষা বাংলা। এরা বাংলা বলতেও পারে না, লিখতেও পারে না। দুর্ভাগ্য বা অজ্ঞতাবশত তাদের চট্টগ্রামী ভাষার নিকটপ্রতিবেশী এ ভাষাকে বাংলা মনে করেন। আরাকানে সেনা অভিযানের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেতা অনেক রোহিঙ্গাই টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে দেখা যায়, আরাকানে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন এমন একজনকে দেখা গেল যিনি সাংবাদিকদের বাংলায় করা প্রশ্নই বুঝতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করে প্রশ্নটি বুুঝানোর পর তিনি উত্তর দিচ্ছেন রোহিঙ্গা ভাষায়। তিনি তার উত্তরটা সাংবাদিককে বুঝানোর জন্য ব্যবহার করছেন ভাঙা ভাঙা ইংরেজি। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে একই পরিস্থিতি ছিল রোহিঙ্গা জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশের দায়িত্ব পালনকারীদের। রোহিঙ্গারা অভিবাসী বাঙালি হলে দু’চারটি বাংলা বাক্য বলতে না পারার কথা নয়।

প্রশ্ন আসতে পারে, রোহিঙ্গাদের ভাষা চট্টগ্রামী ভাষার কাছাকাছি কেন? চট্টগ্রাম ও আরাকানের উত্তরাংশ নাফনদীর মাধ্যমে বিভাজিত প্রতিবেশী। প্রতিবেশী হিসেবে ঐতিহাসিক যোগাযোগের পাশাপাশি মোগল ও বৃটিশ আমলে দুই অংশের ঘনিষ্ঠতা তৈরি, চট্টগ্রাম ও আরাকানের উত্তরাংশের অধিবাসীদের ধর্মীয় সম্পর্ক, আকিয়াব বন্দর ও নাফনদীকে কেন্দ্র করে ব্যবসা ও সামাজিক সম্পর্কের কারণে চট্টগ্রামী ও রোহিঙ্গা ভাষার মধ্যে আবহমান কাল ধরে তৈরি হয়েছে একটি মজবুত সাযুজ্য। কথাবার্তায় রোহিঙ্গারা প্রচুর উর্দু, আরবি ও হিন্দি শব্দ ব্যবহার করেন। বাংলা ভাষায়ও প্রচুর হিন্দি বা ফার্সি শব্দ ব্যবহৃত হয়। এখন কেউ যদি দুইটি ভাষাকে এক বলে দাবি করে সেটা যেমন হাস্যকর, মিয়ানমারের দাবিও সমান হাস্যকর। রোহিঙ্গাদের মোটামুটি সচেতন অংশটির দাবি তাদের ভাষাকে ‘রোহিঙ্গা জবান’, জাতীয়তা ‘বার্মিজ আদিবাসী’ এবং জাতিসত্তা ‘রোহিঙ্গা মুসলমান’। ১৭৯৯-১৮১৫ সাল পর্যন্ত ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে চাকরির সময় জরিপ করেছিলেন ফ্রান্সিস বুকানন। তার জরিপের প্রতিবেদনেও রাখাইন অঞ্চলের ‘রুয়িঙ্গা’ ভাষাভাষী মানুষের বর্ণনা পাওয়া যায়। তাহলে কেন তাদের বাঙালি বলে আখ্যায়িত করছে মিয়ানমার। এখানেই রয়েছে বর্বর বার্মিজদের কূটকৌশল।

চট্টগ্রাম যেহেতু এককালে স্বাধীন আরাকানের অংশ ছিল এবং তারও কয়েক শতাব্দী আগে থেকে রাখাইনের রোসাঙ্গে জনবসতি গড়ে উঠেছিল সেহেতু রোসাঙ্গের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের বাস্তু ও দেশচ্যুত করার কোনো নৈতিক ভিত্তি থাকে না মিয়ানমারের সামনে। এ জন্য তারা চট্টগ্রামী ভাষার সঙ্গে মিলযুক্ত রোহিঙ্গা ভাষাকে বাংলা এবং রোহিঙ্গাদের বাঙালি আখ্যায়িত করে। রোহিঙ্গা ভাষাকে চট্টগ্রামী বা চট্টগ্রামীর উপভাষা বললেও ঐতিহাসিকতার বিচারে হেরে যায় মিয়ানমার। তাই বাংলা ভাষার সঙ্গে রোহিঙ্গা ভাষার পরিষ্কার ভিন্নতা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের বাংলাভাষী হিসেবেই প্রোপাগান্ডা চালায় মগের মুল্লুক। যাতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দিতে সুবিধা হয়। যা এক কুপরিকল্পিত বর্মী কৌশল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *