admin
প্রকাশ: ২০১৭-০৯-৩০ ০২:০৯:২১ || আপডেট: ২০১৭-০৯-৩০ ০৪:১৪:৪৭
আলাউদ্দিন ,উখিয়া সীমান্ত থেকে ফিরে : ইচ্ছে ছিল অনেক আগে যাব কিন্তু যাওয়া হলনা । গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ৩লক্ষ্যাধিক টাকার ওষুধ সামগ্রী ও মেডিকেল টিম নিয়ে উখিয়ার থ্যাইংখালি জামতালি সীমান্তে যায় হিলফুল ফুযুল । তাদের সাথে সঙ্গী হলাম আমিও । বেলায় ১২ টায় পৌছায় ক্যাম্পে ।পাহাড়ের একটু চুড়াই বসে মেডিকেল টিম । খবর পেয়ে আসতে থাকে আশেপাশে ক্যাম্পে থাকা অসুস্থ রোহিঙ্গারা । চলছে চিকিত্সা ওষুধ বিতরণ ।
সে ফাঁকে কয়েকজন রোহিঙ্গাদের সাথে কথা । আক্কাস আলী বয়স প্রায় ৩৫ এর উপরে । কথা হল তার সাথে । সে জানায় তার পরিবারের সাবাই নৌ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । তাকে নাফ নদী পার হতে নৌকার মাঝিকে সে ১ভরি স্বর্ণ দিতে হয়েছে । কথা হল পাশের ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা নারীর সাথে বয়স প্রায় ৪০এর কাছাকাছি । সেখানে একটু দূর্গম হওয়ায় ত্রান ঠিক মত পাচ্ছে না বলে জানান ।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে তীব্র খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি রয়েছে স্যানিটেশন সমস্যা রয়েছে। এ কারণে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এরই মধ্যে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশুর মৃত্যু খবরও শোনা গেছে ।
হিলফুল ফুযুল লোহাগাড়ার মেডিকেল টিমের প্রধান ও লোহাগাড়ার জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ মোহম্মদ লোকমানের সাথে কথা বলে জানা যায় , আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই শিশু। এসব শিশু বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এর বাইরে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইনেরও তীব্র সংকট রয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পে। তিনি আরো বলেন বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
দ্রুততম সময়ে স্যানিটেশন নিশ্চিত করা না হলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুমৃত্যু মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি শিশুদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।