admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০১ ১৩:৩৭:২৫ || আপডেট: ২০১৭-১০-০১ ১৩:৩৭:২৫
বেলাল আহমদ,(বিশেষ )প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামায় পারিবারিক কলহের জের ধরে পারুল বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করে শাশুড়ি ও ননদ। পারুল বেগম উপজেলার সদর ইউনিয়নের দূর্গম চিউনী পাড়ার ওমর ফারুকের স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চিউনীমুখ এলাকায়। জানা যায় ৯বছর পুর্বে লামা সদর ইউনিয়নের চিউনী মুখ এলাকার বাসিন্দা মৃত মোঃ আলীর পুত্র ওমর ফারুকের সাথে লামা পৌরএলাকার রাজ বাড়ীর বাসিন্দা মৃত মোঃ আব্দুস ছাত্তার এর মেয়ে পারুল বেগমের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর কিছুদিন ভালভাবে কাটলে ও পরে নানাভাবে পুত্রবধুর উপর শারিরীক নির্যাতন শুরু করে তার শ্বাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামী। ৩-৪বছর আগে তার স্বামীর পিতৃভিটায় ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী পারুল বেগম আলাদা বাড়ী করে সংসার শুরু করে। কিন্তুু তার উপর অত্যাচার বন্ধ করেনি পারুলের শ্বশুর পক্ষিয় লোকজন।
ছায়েরা খাতুন জানান,ঘটনার দিন শনিবার সকালে আপন শ্বাশুড়ি ছায়েরা খাতুনের সাথে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটু কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমার ননদের স্বামী মোক্তার হোসেন, শ্বাশুড়ি ছায়েরা খাতুন ও সৎ শ্বাশুড়ি মাবিয়া খাতুন ও ননদ নূর নাহার মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে আমার ঘরে প্রবেশ করে। হঠাৎ কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমাকে মারধর করতে থাকে এবং আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার ননদের স্বামী মোক্তার হোসেন হাতে থাকা দড়ি আমার ঘরের বীমের সাথে বেঁধে ফেলে। তখন তারা চারজন মিলে আমাকে দড়ির সাথে ঝুলিয়ে দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। তার স্বামী ওমর ফারুক বলেন, আমি কাজে পাশ্ববর্তী দোকানে যাই। দোকান থেকে ঘরে আসলে দেখি ঘরের দরজার বাইরে দিয়ে শিকল লাগানো। কারো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার শিকল খুলে ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে। আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তাদের সহযোগীতায় দড়ি কেটে তাকে নামাই। অজ্ঞান ও মুমূর্ষ অবস্থায় আমি দ্রুত স্ত্রীকে নিয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তিনি আরো জানান, আমার দুই মা ছায়েরা বেগম, মাবিয়া খাতুন, বোন নুরনাহার ও বোনের স্বামী মোক্তার হোসেন তাকে প্রচন্ড মারধর করে অজ্ঞান করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। মুহূর্তে আমি না আসলে হয়ত আজ আমার স্ত্রীর লাশ পেতে হতো। লামা সদর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হাফিজ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাটি শুনে ভিকটিমকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। বর্তমানে পারুল বেগম লামা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। পারুলের বড় ভাই অলি উল্লাহ জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।