admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৪ ২৩:৩৬:১৬ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৪ ২৩:৩৬:১৬
বীর কন্ঠ ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের পাচারের মাধ্যমে ফায়দা লুটার দায়ে আরো ৩৯ জন দালালকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক এক সাথে এত বিপুল সংখ্যক দালালদের দণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দ্দেশ প্রদান করেন।
দণ্ডিত দালালদের মধ্যে ৩৪ জনই রোহিঙ্গা দালাল এবং অপর ৫ জন হচ্ছেন টেকনাফের স্থানীয় দালাল। বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা দালালরা মিলে রাতের আঁধারে কৌশলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের পাচারে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে দফায় দফায় আরো ১০৮ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডিতদের মধ্যে টেকনাফের শাহপরির দ্বীপের দারুস শরিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা ফিরোজ আলমও রয়েছেন। অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ হচ্ছে, তার ঘরে রোহিঙ্গাদের আটকে রেখে সোনা-দানা ও টাকা পয়সা লুঠ করে নেওয়া হচ্ছিল।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনুদ্দিন খান সন্ধ্যায় জানান, রাখাইনে চলমান সংকটের সুযোগে রোহিঙ্গাদের নিয়ে গোপনে অস্বাভাবিক কিছু ঘটনাও হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশি দালাল চক্রের চেয়েও মিয়ানমারের নাগরিকরাও এরকম কাজে জড়িত থাকার দায়ে আটক করা হয়েছে ৩৪ জন রোহিঙ্গাকেও।
থানার ওসি জানান, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের শাহপরির দ্বীপ থেকে এসব রোহিঙ্গাদের বিজিবি সদস্যরা আটক করেছেন। দণ্ডিত অপর ৫ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে আটক করে পুলিশ।
আটক রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা। মিয়ানমার বাহিনী অত্যন্ত সূক্ষ্মকৌশলে এসব রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের শাহপরির দ্বীপে এনে তুলে দিচ্ছিল। অপরদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এক শ্রেণির মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরাও যোগ দিয়েছে দালাল রোহিঙ্গাদের সাথে।
এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের শাহপরির দ্বীপের বাহারুল উলুম মাদ্রসা ও দারুস শরিয়া মাদ্রাসায়ও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় মাদ্রাসায় আশ্রয় নেওয়া দেশের নানা প্রান্তের জমায়েত হওয়া লোকজন পালিয়ে যান। তবে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।- কালের কন্ঠ