admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৪ ১১:৩৪:০৯ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৪ ১১:৩৪:০৯
বেলাল আহমদ,(বিশেষ )প্রতিনিধি :
বান্দরবান সহ সমগ্র পার্বত্য এলাকায় নিয়মিত বন উজাড় করে শিল্প-কারখানা নির্মাণ, সরকারী বে-সরকারী আবাসন, রাস্তাঘাট, ব্যাক্তি মালিকানা বাগানের নামে সীমানা প্রাচীর ও কাঁটা তারের বেড়া তৈরি করে হাতি চলাচলের ক্রসিং বা এক আবাসস্থল থেকে আরেক আবাসস্থলে যাওয়ার করিডর গুলো বন্ধ করায় দিনে দিনে হারিয়ে যেতে বসেছে হাতির সংখ্যা।
যাতে করে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশে হাতির আবাসস্থল।
সম্প্রতি সময়ে লক্ষ্য করা যায় ব্যাক্তিগত বনায়নের নামে বান্দরবান, লামা,আলীকদম,নাইক্ষ্যংছড়ী,থানছি,রুমা সহ সমগ্র পার্বত্য এলাকায় জায়গার মালিকরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বা কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে হাতির স্বাভাবিক চলাচল। অপরদিকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে হাতির নিরাপদ আবাসস্থল বা চলাচলের রোড সাইনবোর্ড দিয়ে নির্ধারণ করা হলেও তা কেউ মানছেনা। হাতির চলাচল পথে বা আবাসস্থলে গড়ে উঠেছে শিল্পায়ন।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন এর ২০১৬ সালের জরিপ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা হাতির সংখ্যা ২৬৮টি। এর মধ্যে পুরুষ প্রজাতির ৬৭ এবং স্ত্রী ১৭২টি। বাকি ২৯টি বাচ্চা। এছাড়া ভারত ও মিয়ানমার থেকে বছরে গড়ে ৯৩টি হাতি এপার-ওপার আসা-যাওয়া করে। পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যক্তি মালিকানায় হাতি আছে ৯৬টি। যেগুলো সার্কাস, বিয়ের অনুষ্ঠান ও পাহাড়ি এলাকায় ভারী কাঠ আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।