admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৫ ১৭:১৮:৪১ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৫ ১৭:১৮:৪১
বীর কন্ঠ ডেস্ক : হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়াতে অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে গিয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পৃষ্ঠার চিঠিটি মেয়রের হাতে পৌঁছেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। মেয়র নাছির মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ শমসের গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি দুপুর ১২টার দিকে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মেয়রের কাছে লেখা চিঠিটি দিয়েছি। এর আধাঘণ্টা পর মেয়র মহোদয় তা পেয়ে আমাকে ফোন করেছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান। আমি মেয়র মহোদয়কে বলেছি, আমরা (আওয়ামী লীগ) এ বিষয়ে (হোল্ডিং ট্যাক্স) আপনার সঙ্গে বসে আলাপ করতে চাই। এ সময় মেয়র জানাবেন বলেছেন।
এদিকে করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মেয়র মহোদয়ের কাছে দেওয়া চিঠি পেয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন কালের কণ্ঠকে বলেন, এই মুহূর্তে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোটা আমরা সমর্থন করি না।
রাজনৈতিক দল করি বলে সমাজ ও নগরবাসীর প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। ট্যাক্স বৃদ্ধির কারণে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। তাই আমরা মেয়রকে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানোর অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছি।
২০১৭-২২ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্ধিত গৃহকর প্রসঙ্গে সিটি মেয়রকে লেখা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি যে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃক হালনাগাদকরণে গতবারের অ্যাসেসমেন্টের চেয়ে ক্ষেত্রবিশেষে শতগুণ বা ততোধিক হারে গৃহকর বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে সাধারণ নগরবাসীর মধ্যে ক্ষুব্ধ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা জানি, চট্টগ্রাম একটি মহানগরী হলেও নগরীর সব এলাকা সম-উন্নত নয়। ঢাকার তুলনায় চট্টগ্রাম নগরীর গৃহমালিকদের গৃহ আয় অনেক কম। তাঁরা সরকারের রাজস্ব বিভাগকে নির্ধারিত আয়কর দিচ্ছেন। তার পরও গৃহভাড়া বাবদ আয়ের কর আদায় কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হবে না।
এতে আরো বলা হয়, নগরীর গৃহমালিকদের সার্বিক আর্থিক বিবেচনায় গৃহকর পূর্বধার্যকৃত মূল্যে আদায় ও বিগত অ্যাসেসমেন্ট থেকে বর্তমান অ্যাসেসমেন্টের যেসব গৃহ আয়তন দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বৃদ্ধি পেয়েছে শুধু সেসব ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত পৌরকর বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। মনে রাখতে হবে, নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই জনগণের ওপর এমন কোনো যুক্তিহীন করারোপ বাঞ্ছনীয় নয়।
– কালের কন্ঠ