admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-০৯ ০২:৪৬:১৬ || আপডেট: ২০১৭-১০-০৯ ০২:৪৬:১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা আন সান সু চি’র জন্য নতুন দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সংস্থা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত মে মাসে তাকে সিটি অব লন্ডনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘অনারারি ফ্রিডম’ সম্মাননা প্রত্যাহারে বিতর্কের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুচির সম্মাননা বহাল থাকবে নাকি কেড়ে নেওয়া হবে, বিতর্কে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, সুচিকে সম্মান জানিয়ে ওই পুরস্কার দিয়েছিল সিটি অব লন্ডন। তবে তার দেশের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেননি সু চি। দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মূলত এই কারণেই তার সম্মাননাটি প্রত্যাহারের বিষয়ে এর সদস্যদের বিতর্কে ডাকা হয়েছে।
দ্য স্কয়ার মাইল-এর কিছু কাউন্সিলর সুচির আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন। দ্য গার্ডিয়ান বলছে, সহকর্মীদের এমন চাপ ও মিয়ানমারের ভিতরে ক্রমাগত নৃশংসতার রিপোর্ট বেরিয়ে আসায় সিটি অব লন্ডন করপোরেশনের নেতারা ওই বিতর্কের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অব লন্ডন করপোরেশনের পলিসি ও রিসোর্স কমিটির চেয়ার এবং আইনজীবী ক্যাথেরিন ম্যাকগিনেস এরই মধ্যে সব কাউন্সিলরের কাছে ওই বিতর্কের আমন্ত্রণ জানিয়ে ইমেইল করেছেন। তাতে তিনি মিয়ানমারে ভয়াবহ অবস্থা এবং সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংসতার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
গত সপ্তাহেই খবর বের হয় যে, সুচিকে দেয়া সম্মানসুচক ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি অব অক্সফোর্ড’ পদক কেড়ে নিতে সর্বসম্মত ভোট দিয়েছে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল। তবে তা সত্ত্বেও পরিষদের সদস্যরা ২৭ শে নভেম্বর বিশেষ বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকের বিতর্ক শেষে সুচির পদক কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
অং সান সুচির স্বামী অরিস একজন বৃটিশ। এ জন্য সুচি যখন মিয়ানমারে গৃহবন্দি অবস্থায় কাটান ১৫ বছর, তখন তার প্রতি বৃটিশদের সহানুভূতি ছিল বেশি। তাই তারা তাকে নানা সম্মাননায় ভূষিত করেছিলেন।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার পক্ষ নেয়ার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচি আন্তর্জাতিক তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন। এ কারণে তাকে দেয়া বৃটেনের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া সম্মাননা কেড়ে নেওয়ার তোড়জোর চলছে।