admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-১০ ১৫:১২:০৫ || আপডেট: ২০১৭-১০-১০ ১৫:১২:০৫
বীর কন্ঠ ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবিতে আরও ১১ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে শাহ পরীর দ্বীপের নাফ নদীর মোহনা থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আফরুজুল হক টুটুল।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন জানান, গত রবিবার রাতে মিয়ানমার থেকে নাফ নদীর জলসীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় জীবিত ১৭ নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বিজিবি ও স্থানীয় জেলেরা এই পর্যন্ত ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে চারজন নারী,একজন পুরুষ ও বাকী সবাই শিশু।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগে আরও পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি শিশু ও একজন নারীর মৃতদেহ রয়েছে। আজ ভোরে ছয়টি ও সোমবার রাতে ১২টিসহ মোট ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে কলেরার টিকা খাওয়ানোর কথা রয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটিশন ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ হাজার ৬৮০টি স্যানিটারি ল্যান্ট্রিন ও ১৯২৯টি নলকূপ স্থাপন, ছয় লাখ ওয়াটার ফিউরিন ট্যাবলেট ও ৪৫ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়েছে।