admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-১২ ১৫:৫৮:৫২ || আপডেট: ২০১৭-১০-১২ ১৫:৫৮:৫২
বীর কন্ঠ ডেস্ক: বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট এবং এমন কিছু স্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াও হৃদরোগের কিছু অস্পষ্ট লক্ষণও আছে। যেমন পায়ের গোড়ালিতে স্ফীতি এবং ওজন বেড়ে যাওয়া।
এসব লক্ষণ দেখা দিলেও হৃদরোগের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
১. পায়ের পাতা এবং পায়ের নিচের অংশে স্ফীতি
একে বলা হয় ওডেমা বা শোথ। এটি হলো হার্ট ফেইলিওর এর লক্ষণ। যখন আপনার হার্ট আর ভালো ভাবে পাম্প করছে না। এর ফলে রক্তের শিরা ফুটো হয়ে তা থেকে রক্ত আশে-পাশের কোষে ছড়িয়ে পড়ে।
২. পুরুষ টাক
তরুণ বয়সীদের মাথার সামনের অংশে টাক পড়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার লক্ষণ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় টাক পড়ার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
৩. ত্বকে হলুদ বাম্প
হলুদ চর্বি জমে যে হলুদ বাম্প তৈরি হয় তাকে বলা হয় জ্যানথোমা, যা হৃদরোগের সম্ভাব্য একটি লক্ষণ। জ্যানথোমাস দেহে কোলোস্টেরল বেড়ে যাওযারও একটি লক্ষণ হতে পারে।
এবং কোলোস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর তা অদৃশ্যও হয়ে যেতে পারে। এটি হার্ট অ্যাটাকের আগের একটি শারীরিক লক্ষণ।
৪. দাঁতের মাড়ির রোগ
স্ফীতি, কালশিটে মাড়ি অথবা মাড়ি থেকে রক্তপড়াও হৃদরোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। কারণ হৃদপিণ্ডে রক্তসঞ্চালনের ধমনীগুলোর ভেতর যে প্লাক তৈরি হয় তার সঙ্গে মাড়ির রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার সংযোগ রয়েছে।
৫. আবেগগত অবসাদ
হৃদপিণ্ডের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে চরম আবেগগত স্ট্রেস বা অবসাদ দেখা দেয়। একে বলা হয় ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম। এটা ঘটলে অ্যাড্রেনালিন নামের স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণও বেড়ে যায়। যার ফলে বুকে ব্যাথাও দেখা দিতে পারে।
৬. চোখে ছানি পড়া
যদিও হৃদরোগের সঙ্গে চোখের ছানির ঠিক কী সম্পর্ক তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি তথাপি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের চোখে ছানি পড়ে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত্র হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
৭. রাতের কাশি ও কফ
হার্টফেইলিওর এর আরেকটি লক্ষণ হলো বুকে এবং হৃদপিণ্ডে রাতে শুয়ে থাকার সময় তরল জমা হওয়া। এই তরল বেড়ে রাতে কফ তৈরি হতে পারে। এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি অজানা পূর্ব লক্ষণ।