admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-২১ ২২:৩৫:০০ || আপডেট: ২০১৭-১০-২১ ২২:৩৫:০০
মিজবাউল হক,চকরিয়া অফিস:
সমুদ্রে মাছ আহরণ বন্ধ থাকায় কক্সবাজারের ৮ উপজেলার সাড়ে দশ হাজার স্থানীয় দু:স্থ ও প্রকৃত মৎস্যজীবিদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচী বাস্তবায়নে ২১০মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দে প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার নিদের্শিকা দেয়া হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তালিকা পাঠানো হয়।
তবে অভিযোগ উঠেছে, বরাদ্দ কমিটিতে মৎস্যজীবি সংগঠনের প্রতিনিধি না রাখায় সুষ্ঠভাবে চাল বিতরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ক্ষুদ্র মৎস্য জেলে সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ২অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সমুদ্রে ইলিশ মাছ আহরণ বন্ধ রাখে জেলে পরিবার গুলো। এসময় তাদের মানবিক সহায়তা হিসাবে ভিজিএফের আওতায় ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি নির্দেশিকা অনুসরণপূর্বক যথা নিয়মে বিতরণ ও বন্টন কমিটিতে জেলে সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। বিগত সময়ে বন্টন কমিটিতে রাখা হলেও এবারে নেই। ফলে আদৌ প্রকৃত জেলে পরিবার গুলো তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
চাল বরাদ্দের আগে বন্টন কমিটিতে জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন জেলা ক্ষুদ্র মৎস্য জেলে সমিতির সহ-সভাপতি কৃষ্ণ দাশ, সদর উপজেলার সভাপতি আবদুল হামিদ, মহেশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো: ফোরকান, কুতুবদিয়া উপজেলার সভাপতি আবুল কালাম, চকরিয়া উপজেলার সভাপতি রবি জল দাশ, সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, পেকুয়া উপজেলার সভাপতি মো: সাজিদ, সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহমদ, রামু উপজেলার সভাপতি রায়মন দাশ, জেলে নেতা চিত্রসেন, নাতুরাম, রতন জলদাশ, দিশম জলদাশ ও মদন জলদাশ।