admin
প্রকাশ: ২০১৭-১০-২৪ ১৭:৪৬:০৫ || আপডেট: ২০১৭-১০-২৪ ১৭:৪৬:০৫
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে অবিলম্বে ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের আহ্বানের কথা ফের উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যে পাঁচটি প্রস্তাবনা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে, তার আলোকে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর যখন বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ দিবস পালন করা হচ্ছে, ঠিক তখন মিয়ানমারে জাতিগত নির্মূল থেকে বাঁচতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এরই মধ্যে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু, নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক। এই জনগোষ্ঠিকে নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা জাতিসংঘের নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় ও অবিচল অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘জাতিসংঘ দিবসের এই শুভ লগ্নে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষে আমি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাতিসংঘের নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি আমাদের দৃঢ় ও অবিচল প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে গণতন্ত্র, শান্তি, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি বড় অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশ গত তিন দশক ধরে সবচেয়ে সহিংস স্থানসহ বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে বড় সেনা সদস্য অংশ নেওয়া দেশ এবং শান্তিরক্ষী অভিযানে নারীর অংশগ্রহণের অগ্রদূত। দুর্গম এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের সেনারা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন।’ বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে অবদান রাখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বছর জাতিসংঘ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের ওপর চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে দেখতে পেয়ে আমরা খুশি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ৭২ বছরে জাতিসংঘ বিভিন্ন স্থানে শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সাধনে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা জাতিসংঘের এই অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করি। বৈষম্যমূলক এই বিশ্বে ছোট-বড় সব দেশ সব জাতির কাছে জাতিসংঘ সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার হবে বলে আমরা আশা করি।’ জাতিসংঘ সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি শান্তিপূর্ণ, টেকসই ও ন্যায়বিচারের একটি বিশ্ব গড়ে তুলবে বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে— উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাসস।