admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৩ ১৯:৫৩:৪৫ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৩ ১৯:৫৩:৪৫
অনলাইন ডেস্ক:
অবশেষে মালয়েশিয়ায় স্থায়ী আশ্রয় পেয়েছে ভারতের বহুল আলোচিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক। মালয়েশিয়া সরকার তাকে দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দিয়েছে,।
তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জাকির নায়েককে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবে ভারত। খবর দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র রাভেশ কুমার বলেন, ভারত খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানাবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অনুরোধ জানানোর পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বক্তৃতার মাধ্যমে তরুণদের সন্ত্রাসে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
জাকির নায়েক এক সফরে সৌদি আরব যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ভারতের একাধিক মামলা হয়। পরে তিনি আর দেশে ফেরেননি। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।
গত মাসে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ার এক মসজিদে ড. জাকির নায়েককে প্রকাশ্যে দেখা যায়। এ ছাড়া জাকির নায়েকের সঙ্গে বৈঠকের ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
তবে ড. জাকির নায়েককে মালয়েশিয়া আশ্রয় দেয়ায় অনেকেই অভিযোগ করেছেন ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে রাজনীতি করছে নাজিব সরকার।
সিঙ্গাপুরের রাজারাটনাম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশ্লেষক রাশিদ আলী বলেন, সরকার যদি জাকির নায়েককে আশ্রয় না দিত, তা হলে সরকার জনগণের চোখে ধর্মীয় বিশ্বাসযোগ্যতা হারাত। কেননা ড. নায়েক মালয়েশিয়ায় খুব জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
এদিকে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি পার্লামেন্টে বলেছেন, জাকির নায়েককে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পক্ষপাতমূলকভাবে দেওয়া হয়নি। তিনি এ দেশে বসবাসের সময় কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। তাই তাকে গ্রেফতারেরও কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ ছাড়া জাকির নায়েককে ফেরত দেয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনুরোধ পায়নি মালয়েশিয়া সরকার।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। তার প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তখন থেকেই ড. নায়েক ভারতের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন।
ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালানোর পর তরুণরা সন্ত্রাসী কাজে অনুপ্রাণিত করতে পারে, এমন ধারণায় পিস টিভি চ্যানেল বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকারও।