চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

admin

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে:সাইমন হেনশ

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৩ ১৯:১৫:২৬ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৩ ১৯:১৫:২৬

বীর কন্ঠ ডেস্ক:

রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাইমন হেনশ বলেছেন, নিজ দেশে জাতিগত সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে চাপ অব্যাহত রেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আরও চাপ সৃষ্টি করা হবে।

বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশ বিপুল সংখ্যক বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় দেয়ার সাহস দেখিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। যার কারণে বাংলাদেশ প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। রোহিঙ্গাদের এ সংকটকালে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।

শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এসব কথা বলেন।

 

এর আগে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার সকালে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেন। পরে দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান তারা। এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি তারা ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর শিশুদের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সঙ্গে পরিদর্শকদল সময় কাটান।

 

প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরো ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টম ভাজদা, পূর্ব-এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক ব্যুরোর অফিস ডিরেক্টর প্যাট্রিসিয়া মাহোনি।

 

এর আগে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ঢাকায় এসে পৌঁছান মার্কিন প্রতিনিধিদলটি। তারা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে থাকবেন বলে সূত্র জানিয়েছে। এসময় তারা মিয়ানমারের রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আলোচনা করবেন। একইসঙ্গে ঘরহারা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয় নিয়েও আলোচনা করার কথা রয়েছে তাদের।

 

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রতিনিধিদলটি একইভাবে মিয়ানমার সফর করবেন। এসময় মিয়ানমারে কূটনীতিক সম্প্রদায়, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও এনজিও অংশীদারদের সঙ্গে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন। রাখাইনে তারা শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চাইবেন। এছাড়া বাস্তুুচ্যুত রোহিঙ্গাদের যেন স্বসম্মানে ও নিরাপদে রাখাইনে প্রত্যাবাসন করতে পারে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন। —-জাগো নিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *