admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৬ ২২:১৩:৪৬ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৬ ২২:১৩:৪৬
ডাঃ মুহাম্মদ ওমর ফারুক:
মুলত আমি লিখিনা,লিখতে লিখতে আমিও শিখি। হোমিওপ্যাথি এমন একটি শিক্ষণীয় বিষয়,যা চিকিৎসা জীবনের শেষ দিনও পড়ার শেষ হয়না।কোন হোমিও চিকিৎসক কোন দিনই বলতে পারবেনা যে আমার হোমিও বিষয়ে জ্ঞান অর্জন সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রথম বলে রাখি হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি।রোগীর রোগীলিপি সংগ্রহের মাধ্যমে লক্ষণ সদৃশ যে ঔষধটিকে ইঙ্গিত করে সেটাই উক্ত রোগীর নির্বাচিত ঔষধ।
এরপরও আমাদের হোমিও বুঝার জ্ঞানকে সহজ করার জন্য কিছু কিছু অভিজ্ঞ চিকিৎসক কিছু কিছু ব্যতিক্রম লক্ষণের মাধ্যমে কিছু কিছু ঔষধকে নির্দেশনার মাধ্যমে বিভিন্ন পুস্তকে প্রকাশ করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমি “ডাঃ রাধারমণ বিশ্বাস”এর লিখা “আমার ত্রিশ বৎসরের অভিজ্ঞতা” থেকে কিছু লিখা নিম্নে প্রকাশ করলাম।
➤ছেলেদের নাক থেকে রক্তপাত বা হাইড্রোসিল অর্থাৎ জলদোষ রোগে একবার এব্রোটেনামের কথা ভাবতে পারেন।
➤নবজাত শিশুদের নাভিমন্ডল থেকে রক্ত বা রস ধমনে এব্রোটেনাম।
➤পুয়েঁ পাওয়া কোনও শিশু,নিম্নাঙ্গ গুলি শুকাইয়া যায় রোগে এব্রোটেনাম।
➤মাথা ব্যাথার পর যদি কান থেকে রস বা পুজ হয়-অ্যাবসিন্থিয়াম।
➤রক্তস্রাবে চায়নার পর এসিটিক এসিড খুব ভাল কাজ দেয়।
➤বেলেডোনা,মার্কুরিয়াস ও ল্যাকেসিসের লক্ষণ গুলি এসিটিক এসিড প্রয়োগে বেড়ে যায়।
➤শিশু যদি প্রায়ই হাত দিয়ে জননেন্দ্রিয় ধরে সেক্ষেত্রে একোনাইট বিবেচ্ছ।
➤বুড়াদের অনিদ্রা রোগেও একোনাইট।
➤গ্রন্থিস্ফীতি ও hodgkin’s disease রোগে একোনাইট লাইকোটোনাম বিবেচ্ছ।
➤শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, দমবন্ধ,হাসঁফাসাঁনি,দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদিতে একোনিটাম ফেরক্স।
লেখকঃ ডাঃ মুহাম্মদ ওমর ফারুক(হোমিওপ্যাথ)