চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

admin

চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যদায় পালিত হচ্ছে ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

প্রকাশ: ২০১৭-১১-০৭ ১৫:৫৭:২১ || আপডেট: ২০১৭-১১-০৭ ১৫:৫৭:২১

বীর কন্ঠ ডেস্ক:

চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যদায় পালিত হচ্ছে ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী সভা-সমাবেশ র‌্যালী ও ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপিঃচট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিমিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র। আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনেছিল তৎকালীন সেনা প্রধান ও স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। তিনি আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

 

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের ঘটনা এক বিরল ও অনন্যসাধারণ ঘটনা। স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথে দৃপ্ত কোটি মানুষের মিছিলের দিন ৭ নভেম্বর। ঐতিহাসিক বিপ্লব সফল না হলে জাতি হিসেবে আমরা আবার পরাধীন হতাম। তিনি বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ এর ১৪আগষ্ট পর্যন্ত খুন ডাকাতি, লুন্ঠনে বাংলাদেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছিল তৎকালিন আওয়ামী শাসকগোষ্টি। রক্ষিবাহিনী ও লালবাহিনী তৈরী করে সিরাজ সিকদার সহ হাজার হাজার দেশপ্রেমিক নেতাকর্মী হত্যা , মহাদুর্ভিক্ষ, সংবাদ পত্র বন্ধ করে দেওয়া সহ স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেউলিয়াপনায় সমাজে চলছিল অস্থিরতা, তৈরি হয়েছিল বৈষম্য।

 

এক দলীয় শাসন আর এক ব্যক্তির আজীবন রাষ্ট্রপতিত্বের উচ্চ বিলাশে চলছিল বাকশাল নামীয় একটি প্রাইভেট কোম্পানীর সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসন। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডিন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একদলীয় শাসন থেকে বাহিরে এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। ফিরেয়ে দিয়েছিলেন সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ৭ই নভেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতার দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় হলেও নেতৃত্ব চলে গিয়েছিল আদিপত্যবাদী শক্তির হাতে। ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার সম্মিলিত উদ্যোগে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। দেশ মুক্ত হয় আদিপত্যবাদীর কালো থাবা থেকে।চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন।

 

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, কমিশনার মাহবুবুল আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এড. আব্দুচ সাত্তার সরওয়ার, যুগ্ম সম্পাদক এস.এম. সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সিহাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, হাজী মোঃ তৈয়্যব, সহ-সাধারণ সম্পাদক, জি.এম. আইয়ুব খান, এস.এম. জি আকবর, ইসহাক চৌধুরী আলিম, সম্পাদকবৃন্দ সিহাব উদ্দিন মোবিন, এড. সিরাজুল ইসলাম, কমান্ডার সাহাবুদ্দীন, মাহমুদ আলম পান্না, হামিদ হোসাইন, ডা. সরওয়ার আলম, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, ছাত্রদলের বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ। উত্তর জেলা বিএনপিঃ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ঐতিহাসিক সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস ৭ই নভেম্বর উদযাপন উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টায় নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যালীসহকারে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

পুস্প স্তবক অর্পন শেষে উদ্যানের প্রধান ফটকে এক আলোচনা সভা বিএনপি নেতা আলহাজ্ব সরোয়ার আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং ফিরোজ আহম্মদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বেলায়েত হোসেন। বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা নিজামুল হক তপন, আলহাজ্ব আবু জাফর চৌধুরী, নুরুল হুদা চেয়ারম্যান, আজমত আলী বাহাদুর, মোঃ ফজলুল কাদের, বদিউল আলম, শফিউল জামান, একরাম হোসেন চৌধুরী সেলিম, আলহাজ্ব কাজী মোহাম্মদ মোহসিন, যুবদল নেতা মোঃ ইউসুফ চৌধুরী, সাবের সুলতান কাজল, এম.ইলিয়াছ আলী, মজিবুল আলম, মোক্তাদির মওলা, এস.এম মহিউদ্দিন মাসুদ, শ্রমিকদল নেতা দিদারুল আলম তালুকদার, কামাল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, হাসান তালুকদার, মোঃ ইদ্রিছ আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইউসুফ তালুকদার, সৈয়দ মোঃ নাজিম উদ্দিন, বাবুল মেম্বার, সৈয়দ তাজুল ইসলাম মেম্বার, ওয়াসিম রেজা, মোঃ একরাম মিয়া, ইকবাল চৌধুরী, শাহাজাহান শাহিল, মোস্তফা মনোয়ার মুন্না, এ্যাডভোকেট মোঃ মঈনুদ্দিন, মোজাম্মেল হক, সেলিম উদ্দিন, জানে আলম, নওশাদ মোঃ রুবেল, এস.এম একরাম মুন্সী, ফোরকান হোসেন সুমন, ছাত্রদল নেতা মহিউদ্দিন জীবন, মোঃ শওকত আলী, মোহাম্মদ হোসাইন, সাইফুল ইসলাম টুটুল, নিজাম উদ্দিন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ইকবাল মির্জা, সাবের উদ্দিন টিপু,নাছির উদ্দিন, বিপুল খান, মাজহারুল ইসলাম, সোয়েব হাসান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাইদুল ইসলাম. মোহাম্মদ সাহেদ, মোহাম্মদ রিজভী, মোহাম্মদ বেলাল, জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ লোকমান, রিমন, রাসেল, পেয়ার মোহাম্মদ বাবু, শাহেদ মির্জা, নেজাম উদ্দিন, মুরাদ, শাহাজাহান, জাহেদুল ইসরাম, অমিত, কাইয়ূম, ফরিদ উদ্দিন ও প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *