admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৮ ১২:১১:০০ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৮ ১২:১১:০০
বেলাল আহমদ,বিশেষ প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামা পৌরসভা প্রত্যাশা অনেক, তবে অল্প সময়ে প্রাপ্তিও কম নয়। পরিচ্ছন্ন শহর, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও শোভাবর্ধন, সড়কবাতি ও আধুনিক পরিবহন, অক্ষম নাগরিকদের গৃহকর মওকুফ, খেলাধুলা ও শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশ, স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে চলছে নিরন্তর প্রয়াস। নাগরিকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কর্মযজ্ঞে লিপ্ত লামা পৌরসভার মেয়রসহ একঝাঁক তারুণ্যদীপ্ত দক্ষ জনবল।
নির্বাচিত হয়ে ১ বছর ৯ মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণ করে বর্তমান পৌর পরিষদ। পৌনে দু’বছরে উন্নয়ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে অনেকখানিই এগিয়ে গেছে লামা পৌর শহর। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের আনুকূল্যে ও লামার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইলের নির্দেশনায় বেগবান হচ্ছে এই উন্নয়নের গতি। দফায় দফায় দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলা করেও স্বীয় সৌন্দর্য্যের বিন্দুমাত্র খোয়ায়নি এ পৌর শহর। পার্বত্য মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে পৌরসভাকে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ ধারাবাহিকভাবে ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলছে। পৌরবাসীর দীর্ঘ প্রত্যাশার ফসল একটি পৌর বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।পৌর শহরসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে নির্মাণ করা হয়েছে গণশৌচাগার। শহর ও আশপাশের নাগরিকদের চাহিদা পূরণে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়ে নির্বিঘ্নে সরবরাহ করা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রেখে সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ঈদ ও পূজা-পার্বণগুলোতে পৌরসভার অংশগ্রহণ সকলকে সম্প্রীতিতে আবদ্ধ রেখেছে। পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি ও সামাজিক বিচার ব্যবস্থায়ও তৈরি হয়েছে। ফলে পৌর এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক সি’তিশীলতার সূচক বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।
পরিবেশ বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে শহর উন্নয়নে নতুন ও টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে পৌর পরিষদ। সাধারণ ও সংরক্ষিত প্রত্যেক কাউন্সিলরের সুচিন্তিত মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। পৌরসভায় শিশুপার্ক, বিনোদন কেন্দ্রের অভাব উপলব্ধি করে কর্তৃপক্ষ পৌর ভবন এলাকায় একটি পার্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লাইনঝিরি এলাকার রাস্তায় একটি গোল চত্বর নির্মাণ করে ধারণ করা হবে স্বাধীনতার সংশপ্তক ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা অনুষঙ্গ সংযোজনের প্রয়াস নিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর মেয়র,জহিরুল ইসলাম বলেন অচিরেই পার্বত্য মন্তী বীর বাহাদুরের হাত ধরেই লামা পৌরশহর হবে একটি আধুনিক মানের মডেল পৌরসভা।