admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৮ ১৭:৩৩:১২ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৮ ১৭:৩৩:১২
স্টাফ রিপোর্টার:
১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে হোল্ডিং ট্যাক্স ও মাদক-সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে সিটি মেয়র বলেছেন, জনগণ হাজার হাজার টাকা ভিন্ন খাতে অপব্যয় করে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স দিতে তাদের যত অনীহা। আমাদের জনগণকে সরকারের ট্যাক্স প্রদানের মানসিকতা অর্জন করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশের উন্নয়ন হয়।তাহলে জনগণ যদি ট্যাক্স দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তাহলে উন্নয়ন হবে কি করে? দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের ট্যাক্স হার আরো বেশি। যেমন রাজশাহীতে ২৭ শতাংশ,বরিশালে মনে হয় প্রায় ৩৭ শতাংশের মত। সেসব অঞ্চলের জনগণ কি সরকার ধার্যকৃত ট্যাক্স দিতে কোন ধরণের অপারগতা প্রকাশ করেছে?
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে জনগণের অংশগ্রহণ কতটুকু তার হিসাব দেখালে একটা পরিস্কার ধারণা পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, গত অর্থ বছরে এই চট্টগ্রাম নগরে জনগণের ট্যাক্স বাবদ আদায় হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। আর ঐ অর্থ বছরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ১৭৫ কোটি টাকা। এবার নগর উন্নয়ন ব্যয়ে জনগণের অংশগ্রহণ কতটুকু তা জনগণই বিচার করবে? গত বছর চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এই টাকা সবই সরকারের অর্থ সহায়তা।
তিনি ১০ নং ওয়ার্ড সম্পর্কে বলেন, এই ওয়ার্ডে পুরাতন হোল্ডিং ছিল ৩৩৩৫টি। নতুন এসেসমেন্টে বেড়েছে আরো ৪২০টি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ করমুক্ত।গরীবদের কাছ থেকে টোকেন ট্যাক্স নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া গরীবদের এই টোকেন ট্যাক্স আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নাগরিকদেরকে আমি বলি উন্নয়ন চান, সরকারের সাথে সহায়ক শক্তি হিসেবে অংশগ্রহন করুন।ট্যাক্স দেয়ার মানসিকতা অর্জন করুন।