admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-১৯ ২১:৪৪:১২ || আপডেট: ২০১৭-১১-১৯ ২১:৪৪:১২
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহাজান খান নিজ জেলা মাদারীপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোককে চাকরি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সর্বশেষ চতুর্থ শ্রেণির লস্কর পদে নির্বাচিত ৮৫ জনের মধ্যে ২৮ জনই চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা, ৪০ জনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাইরে ও ১৭ জন পোষ্য কোটায় নিয়োগ পেয়েছে। এর মধ্যে মাত্র সাত-আটজন তাঁর নিজ জেলা মাদারীপুর থেকে নিয়োগ পেয়েছে।
নৌমন্ত্রী জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এ পর্যন্ত দুই হাজার ১০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের বন্ধ্যাত্ব ঘুচিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক নিয়োগ দিয়েছেন।
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ডের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শাজাহান খান এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের নিলামযোগ্য কন্টেইনার জট কমাতে নির্মিত এ সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ডে তিন হাজার টিইইউস কন্টেইনার রাখা যাবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় কেন অনুষ্ঠিত হয় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল বলেন, এক সঙ্গে ৭৪ হাজার পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা চট্টগ্রামের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকার ৭৩টি কলেজে লোক নিয়োগের পরীক্ষায় যথেষ্ট সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষায় তদারকি করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, নওগাঁর সংসদ সদস্য এম ইস্রাফিল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল বক্তব্য দেন।
গত ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে লস্কর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮৫ জনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বলা হয়, চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বেশির ভাগের বাড়িই মাদারীপুর জেলার।
সূত্র – এন টিভি অনলাইন