admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-২০ ২১:৪৭:৩৬ || আপডেট: ২০১৭-১১-২০ ২১:৪৭:৩৬
মোহাম্মদ আইয়ুব, সদর (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
দেশে অনেক বীমা কোম্পানী আছে। তাদের অনেকে বীমা দাবি যথা সময়ে ও যথাযথভাবে আদায় না করার কারণে বীমা কোম্পানীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম। চৌধুরীপাড়ার মত প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজ প্রগতির সেবা পৌঁছে দিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের অন্তর্গত স্বনামধন্য মফিজুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কক্সবাজার জেলার উদ্যোগে গ্রাহক মরহুম আবুল বশর এর মৃত্যুদাবীর চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শফিকুর রহমান সিকদার এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আজ মরহুম আবুল বশরের মৃত্যতে তার পরিবারের জন্য প্রগতি বীমা দাবি পূরণ করে তার অনুপস্থিতিতে প্রগতি অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট বীমাবিদ কক্সবাজার জেলা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর ইনচার্জ এম. রফিকুল আলম বলেন, প্রগতি দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। প্রগতি গ্রাহক থেকে শুধু নেয়না। গ্রাহককে দিতেও জানে আজ অনুষ্ঠান তার প্রমাণ। প্রগতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিক আজ আমরা তাই প্রমাণ করলাম।
সভাপতির ভাষণে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফজলুল হক বলেন, উন্নত দেশে বীমা প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশেও বীমার উন্নয়নের জন্য সরকার নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। হয়ত ভবিষ্যতে আমাদের দেশেও প্রত্যেকের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক করা হবে। এখনও যারা বিদেশ যায় তাদের জন্য বীমা বাধ্যতামূলক। তবে কিছু কিছু অসাধু বীমা কোম্পানী ও বীমা কর্মীর অসাধুতার কারণে বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছে। প্রত্যেক বীমা কোম্পানী ও বীমা কর্মী যদি প্রগতির মত স্বচ্চতা দেখাতে পারে তবে এই দেশেও বীমা সর্বসাধারণের কাছে আস্থা ফিরে পাবে। তিনি বলেন, মরহুম আবুল বশর পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন। তার বিধবা স্ত্রী মালেকা বেগমও তেমন সচেতন নয়। তাকে তার স্বামীর বীমা দাবি স্বরূপ পুরো দাবি না দিয়ে কিছু টাকা দিয়ে দিলে সে তা বুঝতে পারত না। কিন্তু প্রগতি তা না করে তাদের ওয়াদা রক্ষা করেছে। ফলে প্রগতি আজ সাধারণ মানুষের অন্তবে স্থান করে নিয়েছে।
প্রগতি ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর মৌলানা শামসুল আলমের সঞ্চালনায় উক্ত বীমা দাবির চেক হস্তান্তর অনু্ষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভারুয়াখালী প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, রিজিউন্যাল কো-অর্ডিনেটর আবু মোহাম্মদ রাশেদ উদ্দিন চৌধুরী, ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর নুরুল আবছার, ঈদগাঁও সার্ভিসিং সেলের ব্যাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর মৌলানা মোস্তাক আহমদ,কক্সবাজার জেলা অফিসের ব্যাঞ্চম্যানেজার মোহাম্মদ রফিক হাবীব.চফলদন্ডী এজেন্সী অফিসের ব্যাঞ্চ ম্যানেজার নুরুল ইসলাম, চফলদন্ডী এজেন্সী অফিস ব্যাঞ্চ ম্যানেজার আবু হানিফা মোহাম্মদ নোমান, ইউনিট ম্যানেজার চফলদন্ডী এজেন্সী অফিসের ইউনিট ম্যানেজার মোবারক হোসেন প্রমুখ।
এতে স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বিভিন্ন বীমা কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, মালেকা বেগমের স্বামী মরহুম আবুল বশর পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন। তিনি প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিঃ এ মাসিক ৫৪০ টাকায় একটি বীমা করেন। এর ৫ মাস পর তিনি মারা গেলে প্রগতি তার বীমা দাবিস্বরূপ ৬০হাজার টাকার বীমা চেক মরহুম আবুল বশরের স্ত্রী মালেকা বেগমকে হস্তান্তর করেন।