চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

admin

লামায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা হেলুমিয়া পেলেন সরকারি বাড়ী ‘বীর নিবাস’

প্রকাশ: ২০১৭-১১-২০ ২১:১৫:০১ || আপডেট: ২০১৭-১১-২০ ২১:১৫:০১

বেলাল আহমদ,(বিশেষ )প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়ায় অসহায়  মুক্তিযোদ্ধা হেলুমিয়ার বসত ঘর নির্মাণ করে দিলেন সরকার। একটি ছোট্ট বাঁশের ঘরে বাস করতেন ৭১’র রণাঙ্গনের সৈনিক হেলুমিয়া। দু:স্থ মুক্তিযোদ্ধারে জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সরকারি অর্থায়নে বাড়িটি নির্মিত হয়। গত অর্থ বছরে সাড়ে নয় লাখ টাকায় বাড়িটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। উপজেলা প্রকৌশলী জানান, বাড়ি ও সংযুক্ত দু’টি পশুপালন সেট নির্মাণ করা হয়।

কাজের গুণগতমান সন্তোষজনক। ৭০’র দশকের শেষদিকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হেলুমিয়া পার্বত্য লামা উপজেলায় পূনঃবাসিত হন। লামা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চেয়ারম্যান পাড়ায় একটি বাঁশের ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে স্ব-পরিবারে বসবাস করতেন তিনি।লামা পৌর শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাগুলোতে পানির ভার বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন  মুক্তিযোদ্ধা হেলু মিয়া। ব্যক্তি জীবনে হেলু মিয়া দুই ছেলেওএক মেয়ে সন্তানের জনক।অসহায় মুক্তিযোদ্ধা ছেলে মেয়েরা কেউ পায়নি সরকারি বেসরকারি কোন চাকরি। মানবেতর জিবন যাপন করছেন তারা।বিভিন্ন সময়ে দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় হেলুমিয়াকে নিয়ে নানা শিরোনামে স্থানীয় রিপোর্টারগণ অনেক লেখালেখিও করেছিল। এর ফলে অত্র উপজেলার হেলুমিয়াসহ আরো বীর মুক্তি সেনানিদের মহান স্বাধীনতায় যুদ্ধজীবনের কাহিনী নিয়ে ফলাও করে রিপোর্ট হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের, বিশেষ করে দরিদ্র ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে থাকেন সরকার। এ ধারাবাহিকতায় সরকার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠনসহ ধাপে ধাপে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিবৃদ্ধি ও দু:স্থ-যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেন। ২০০১ সালে বিষয়টি রাজনৈতিক সংস্কৃতির জালে পেছিয়ে যায়। ২০০৯ সাল থেকে আবার বর্তমান জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিক উন্নয়ন শুরু করেন ৭১ এর রণাঙ্গনের মুক্তিসেনা ও তাদের ত্যাগের ফসল স্বাধীন সোনার দেশ গড়ার। ৪৪৬ স্কোয়ার ফিট আয়তনের ১টি বিল্ডিং বাড়ি ও ২টি ডেইরী, পোল্ট্রি সেটের মালিক হতে পেরে খুব খুশী হেলু মিয়া। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হেলুমিয়া জানান এই সরকারের নিকট আমরা চিরকৃতজ্ঞ।বাড়ীটির নাম করন করা হয় ‘বীর নিবাস’।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *