admin
প্রকাশ: ২০১৭-১১-২৩ ১৭:৩৭:১৭ || আপডেট: ২০১৭-১১-২৩ ১৭:৩৭:১৭
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং ব্যক্তিগত কোন উপায়ে কোন রকম দুর্নীতি করেননি দাবি করে চ্যারিটেবল মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিশেষ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৬ষ্ঠ দিনের মতো বক্তব্য শেষে বিচারক জিয়া চ্যারিটেবল মামলার অভিযোগ পড়ে শুনালে খালেদা জিয়া নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
চ্যারিটেবল মামলায় কোন কাগজপত্র দাখিল করবেন কিনা এবং বক্তব্য দিবেন কিনা বিচারকের এমন প্রশ্নে খালেদা জিয়া কাগজপত্র দাখিল ও বক্তব্য দিবেন বলে জানান।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এ মামলার সকল সাক্ষ্য ভিত্তিহীন, তদন্ত কর্মকর্তা সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশের বহি:প্রকাশ স্বরূপ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, যার কোন দালিলিক প্রমাণ নেই, যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
খালেদা জিয়া বলেন, এই মামলায় দু’জন ব্যক্তি দুটি তদন্ত করেছে। কিন্ত তদন্তের ভাষা পর্যালোচনা করলে দুটির ভাষা এক। তাতে প্রমাণ হয় এ রিপোর্টের তদন্ত সাজানো। সাজানো তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ সম্পূর্ণরূপে একজন ইন্টারেস্টেড। সাক্ষী। তিনি সরকারের আজ্ঞাবহ। ফলে তিনি নিরপেক্ষ কোন অনুসন্ধান করেননি বা নিরপেক্ষ কোন তদন্তও করেননি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা উক্তি উল্লেখ করেছেন এবং জবানবন্দি দিয়েছেন। তার মিথ্যা তদন্তের সূত্র ধরেই আমার বিরুদ্ধে জনসমক্ষে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করে চলেছে সরকার।
খালেদা বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই। অথচ এজাহারে আমার নামটি তুলে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের নামে সোনালি ব্যাংক বা প্রাইম ব্যাংকের একাউন্টে আমার কোন স্বাক্ষর নেই, কোন চেকেও আমার স্বাক্ষর নেই। কোন দালিলি সাক্ষ্য কেউ উপস্থাপন করেননি