চট্টগ্রাম, , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

admin

সোফিয়াকে পাশে রেখে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ২০১৭-১২-০৬ ১৬:২৪:২০ || আপডেট: ২০১৭-১২-০৬ ১৬:২৪:২০

বীর কন্ঠ ডেস্ক:

দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিভিত্তিক প্রদর্শনী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল এ আয়োজনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ যন্ত্রমানবী সোফিয়া।

বুধবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিনি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।

 

উদ্বোধনের পর লেজার লাইট শোয়ের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে রোবট সোফিয়াও এই শো উপভোগ করেন।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারে অনেক কাজ করেছে। তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণেরা বাংলাদেশকে একদিন অনেক দূর এগিয়ে নেবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। একসময় দেশে একটি মাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল। মোবাইল ফোনের দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সেই ফোনে ধরলেও ১০, করলেও ১০ (টাকা)। ঢাকা আর চট্টগ্রামে এনালগ ফোন ছিল। অন্য কোনো বিভাগে তাও ছিল না। আমি এসে এগুলো ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেই। সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারিখাতে মোবাইল ব্যবসায় সার্বজনীন করি।

 

নিজ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আইসিটি খাতের বিভিন্ন উন্নয়নের দিক তুলে ধরেন।

 

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা পাইনি। আমাদের নেয়া আগের কোনো উদ্যোগে বিএনপি সরকারের আমলে অগ্রসর হয়নি। এমনকি দেশের তথ্য চুরির অজুহাত দেখিয়ে সাবমেরিন কেবল সংযোগও স্থাপন করেনি। ক্ষমতায় এসে এই কেবল স্থাপন করি। দেশে থ্রিজি চালু করেছি। ফোরজিও আসবে। ২০০৯ সালে ৮ লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ৮ কোটিতে। এখন ফ্রিল্যান্সিং জনগোষ্ঠীর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে দ্বিতীয়। ইনশাল্লাহ এক নম্বর হবো। আমরা ব্যান্ড উইথের দাম কমিয়ে ডিজিটাল বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়েছি। এখন গরু পর্যন্ত অনলাইনে বিক্রি হয়।

 

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও সক্ষমতা তুলে ধরতেই এ আয়োজন। আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এ ছাড়াও আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প।

 

এ ছাড়াও পার্টনার হিসেবে রয়েছে- বাক্য, বিসিএস, ই-ক্যাব, বিআইজেএফ, বিবিআইটি, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং সিটিও ফোরাম।

 

আজ থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে প্রদর্শনী চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।- জাগো নিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *