admin
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১১ ০১:৩৪:৪৫ || আপডেট: ২০১৭-১২-১১ ০১:৩৪:৪৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জেরুজালেম ইস্যুতে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চায় কাতার। দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ট্রাম্পবিরোধী পদক্ষেপ নিতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। হামাস প্রধানের সঙ্গে দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ তামিম শুক্রবার দোহায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতারের আমির বলেন, ‘জেরুজালেম ইস্যু একটি জাতির ভাগ্য নির্ধারণী ইস্যু।’ এই কঠিন সময়ে তিনি ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন।
এসময় কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে তার সিদ্ধান্ত থেকে সরিয়ে আনতে সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং যোগাযোগ প্রয়োজন। আরব ও মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মোকাবিলা করার উপায় বের করতে হবে। শুধু নিন্দা নয়, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
৬ ডিসেম্বর বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এরপর বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে।
শনিবার আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক শেষে জোটের মহাসচিব বিবৃতি দেন। এতে আবুল ঘেইত বলেন, ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী এবং এটি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’ তার মতে, মার্কিন নীতিতে পরিবর্তনের কারণে ‘ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আরব বিশ্বের আস্থা ক্ষুণ্ন হতে পারে’।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার জেরুজালেম নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির সিদ্ধান্তে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকেও তোপের মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটির মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সও ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। কার্যত পুরো বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদের অর্ধেকের বেশি সদস্য দেশের আহ্বানে এই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টির মীমাংসায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনার তাগিদ দেয় যুক্তরাজ্য। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা থাকায় এ নিয়ে ভোটাভুটির জন্য কোনও প্রস্তাব তোলা হয়নি।