Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১১ ২০:৪৬:১৮ || আপডেট: ২০১৭-১২-১১ ২০:৪৬:১৮
মোঃ নাজিম উদ্দিন :
ছেলে মো. আবু হানিফ (৬) পায় আক্রান্ত হয়ে জটিল রোগে ভোগছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য ভারতে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার তৈয়বের পাড়ার ব্রিক ফিল্ড ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিন (৩৫)। প্রায় ২০ দিন পরে ছেলের অপারেশন শেষে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা-ছেলে দু’জনই। তারা ফ্লাইটে করে ঢাকা বিমান বন্দরে পৌঁছেন রোববার রাত ৯ টায়। রাতে চট্টগ্রামের কোনো ফ্লাইট না থাকায় সড়ক পথে বাসে করে তারা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। তবে বাড়ি ফেরা হলো না বাবা-ছেলের। গত ১০ ডিসেম্বর রোববার রাত ২টায় কুমিল্লার দাউদকান্দির সিংগুলাদীঘির পাড় এলাকায় সৌদি পরিবহণ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে শাহাব উদ্দিন ও তার ছেলে হানিফ মারা যান। লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার চেয়ারম্যান মো. জুনাইদ জানান, ঢাকা বিমান বন্দরে নেমে আমার সাথে কথা হয়েছিল শাহাব উদ্দিনের। রাতে আকাশ পথে চট্টগ্রারেম যাওয়ার জন্য কোন টিকিট না পেয়ে রাত ১২ টায় ফকিরাফুল থেকে বাসে করে লোহাগাড়ায় আসছিলেন তারা। রাত ২টায় বাসটি দাউদকান্দিতে দুর্ঘটনায় পতিত হলে বাবা-ছেলে দু’জনই মারা যায়। এ দুর্ঘটনায় বাসের অপর যাত্রী সাতকানিয়ার যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন ও পদুয়ার ফরিয়াদিরকুলে নুরুল আবছারের ছেলে নুরুল হাসান রিফাত মারা যায়। শাহাব উদ্দিনের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন জানান, বড় ভাই তার ছেলে আবু হানিফের চিকিৎসার জন্য চেন্নাই অ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়েছিলেন। প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করে ছেলেকে চিকিৎসা করান। রোববার রাতে ঢাকায় পৌঁছে সড়ক পথে বাড়ি ফেরার পথে দাউদকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ভাই ও তার ছেলে মারা যান। শাহাব উদ্দিন ৩ সন্তানের জনক ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে গ্রামের বাড়িতে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। সোমবার রাত ৮ টায় গ্রামের বাড়িতে জানাজার নামাজ শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার হবে বলে জানান চেয়ারম্যান জুনাইদ।