Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১২ ১৬:৫১:২১ || আপডেট: ২০১৭-১২-১২ ১৬:৫১:২১
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মুসলিম রোহিঙ্গা শিবিরে এক সপ্তাহ ত্রাণ বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহম্মদ আশরাফ হোসেন (শিক্ষা ও আইসিটি) স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঘরে পর্যাপ্ত ত্রাণ থাকায় তা রোহিঙ্গারা স্থানীয় উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার এবং দোকানে বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত রোহিঙ্গাদের ত্রাণের অপব্যবহার ও বিক্রিরোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পরিপত্রে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মাঝে প্রায় বেশিরভাগ এনজিও ত্রাণ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী এবং নন-ফুড আইটেম রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংরক্ষিত হচ্ছে ও অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এজন্য সবাইকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইনে অভিযান চালায়। তাদের হত্যাযজ্ঞের মুখে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। – পরিবর্তন