চট্টগ্রাম, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

Alauddin Lohagara

কান্নায়, শ্রদ্ধায় স্মরণ বুদ্ধিজীবীদের

প্রকাশ: ২০১৭-১২-১৪ ১১:৩৩:২২ || আপডেট: ২০১৭-১২-১৪ ১১:৩৩:২২

 

বীর কন্ঠ ডেস্ক:

স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে অগণিত সূর্যসন্তানদের দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় হত্যা করেছিল পাক সেনারা। পূরণ হওয়ার নয় এ শূন্যতা। বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কান্না আর বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করছে সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। কাক ডাকা ভোরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জড়ো হয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রদ্ধা জানান। এরপর মূল বেদি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, বিবি, পিএসসি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দলের সিনিয়র নেতারা শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিদেশে পালিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক তৎপড়তা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের আশা তাদের শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলেও, সময়ের ব্যবধান অনেক কমবে। এই খুনিদের ছাড় দেওয়া হবে না। এরা বাংলাদেশকেই মেরুদণ্ডহীন করে দিতে চেয়েছিল। যাতে এদেশ শুরু থেকেই একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, সে জন্য এই ঘৃণ্য কাজটি তারা সেদিন করেছিল।

শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আমাদের দাবি প্রত্যাশা একটাই, যারা এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে তাদের বিচার। যারা পলাতক আছে তাদের ধরে এনে বিচারের সম্মুখীন করে রায় কার্যকর করা। আমাদের যন্ত্রণা তো আমরা কাউকেই বলতে পারবো না। এদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের মতো রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীও সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে।

অনেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রায়েরবাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।

বেলা বাড়ার সঙ্গে স্মৃতিসৌধ মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। শ্রদ্ধা জানানোর মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।

১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজীর নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।- পরিবর্তন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *