Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১৭ ১৮:৩৭:৫৮ || আপডেট: ২০১৭-১২-১৭ ১৮:৩৭:৫৮
এম.এ.এইচ রাব্বী, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আজ যাদের জন্য আমরা মন্ত্রী,মেয়র,শিল্পপতি বা সমাজ প্রতিনিধি হয়েছি। এইসব বীর মুক্তিযোদ্ধা; যারা নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের কাছে আমরা ঋনী। আমাদের প্রতিষ্ঠা একমাত্র আজ দেশ স্বাধীন হবার কারণেই। সুতরাং দেশ,স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে কখনো আপোষ হতে পারে না।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনেকেই নানা সুযোগ-সুবিধা এমনকি চাকুরি পর্যন্ত পেয়েছেন।কিন্তু সেসব মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন অভিযোগ শোনা যায়।আমার প্রশ্ন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়ে তারা কিভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আঁতাত করেন?এটাতো দেশ,জাতি ও চেতনার সাথে বেঈমানি করার সামিল।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, নিজের পরিবারকে মুক্তিযুদ্ধ,দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা সমৃদ্ধ করার দায়িত্ব আপনাদেরকেই নিতে হবে।অনুজদের সঙ্গ,আচার-আচরণ খেয়াল রাখতে হবে। তারা যাতে বিপথগামী না হয় সেবিষয়টি আপনাদেরকেই খেয়াল রাখতে হবে।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আপনাদেরকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আজ দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১’শ৫০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রতিজনকে নগদ ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চসিক প্রধান নির্বাহি মো. সামসুদ্দোহা। সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, চট্টগ্রামে নিযুক্ত রাশিয়ান কনসাল জেনারেল ভিসেস্লাভ জাকারভ,চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড মোজাফফর আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সিটি মেয়র বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করার মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আমরা এই অশেষ ঋণ শোধের সুযোগ পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে এবং তাদেরকে সম্মান,মর্যাদা প্রদানের অঙ্গীকারে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছেন।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পক্ষ থেকে আমি ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধার জন্য গৃহায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছি।
অনুষ্ঠানে চসিক প্যানেল মেয়র,কাউন্সিলর,সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।