Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-১৮ ১৪:০২:২১ || আপডেট: ২০১৭-১২-১৮ ১৪:০২:২১
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।সোমবার সকালে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন সহকারী প্রক্টর।
বিচারক মুন্সী মসিউর রহমান শুনানি শেষে জামিন আবেদন বাতিল করে দিয়ে আনোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মজিবুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে সহকারী প্রক্টরের জামিন বাতিলের পর পরই মামলার আরেক আসামি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু ও যুবলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পর দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়।
ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানায়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে। ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন দিয়াজের মা জাহেদা আমিন।এ ঘটনায় পর দিন নিজে বাদী হয়ে মেজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন তিনি। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবুল মনসুর জামশেদ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান।
পরে বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ ডিসেম্বর লাশ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ১১ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। এর পর যে প্রতিবেদন দেয়া হয়, তাতে বলা হয়, দিয়াজকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট আদালত হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ এবং পাসপোর্ট জব্দ ও বিদেশে যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।- যুগান্তর