Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৩ ২০:৩৫:৫৮ || আপডেট: ২০১৭-১২-২৩ ২০:৩৬:৪৯
[checklist][/checklist]
মোহাম্মদ আইয়ুব,কক্সবাজার প্রতিনিধি :
আজ দুপুর ১ টার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টে সমুদ্র সৈকতে মোহাম্মদ তৈয়ব নামক এক মাদ্রাসার ছাত্র ও তার সাথে থাকা তিন জন বন্ধুকে সমুদ্র সৈকতের এক ক্যামেরাম্যান নাজেহাল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে অভিযোগ সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে গেলে ক্যামেরাম্যান ৫০ টাকা ঘোষ দিয়ে বিষয়টি দফারফা করার জন্য অনুরোধ জানায়। এতে সম্মতি না দিয়ে ক্যামেরাম্যানের ডাটা সংগ্রহ করতে চেষ্টা করলে ক্যামেরাম্যানটি পালিয়ে যায়।
তৈয়ব অভিযোগ করে বলে, তার বাড়ি পূর্ব কলাওজান দারুসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার শেষ করে সে এবং তার চার বন্ধুরা মিলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নৈসর্গিক সৈন্দর্য উপভোগ করতে আসে। তারা সুগন্ধা পয়েন্ট হয়ে সাগরে নামলে একজন ক্যামেরাম্যান তাদের ভ্রমণের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ছবি করে দেবার অনুরোধ জানালে তারা শুধু ছবি করে তাদের মোবাইল মেমোরিতে দিয়ে দেবার শর্তে প্রতিটি চবির মূল্য ৫ টাকা করে নির্ধারণ করে ছবি তুলে তা মেমোরিতে নিতে গেলে তাদের কছ থেকে ১০০ টি মূল্য ৫০০ টাকা দাবি করে। কিন্তু তারা বলে আমরাতো মাত্র ৪- ৫ টি ছবি করব বলেছিলাম। সে বলে আমি যখন ছবি করছিলাম তখনতো আপনারা নিষেধ করেনি কেন? তারা প্রতি উত্তরে বলে আমরাতো এত ছবি নেব বলিনি। এতে ক্যামেরাম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তার দাবিকৃত টাকা দিয়ে তাদের চলে সটকে পড়তে বলে। এতে তারা ভড়কে গিয়ে ৩০০ টাকা দিতে সম্মত হয়। কিন্তু ক্যামেরাম্যান ৫০০ টাকা থেকে এক টাকাও কম নিবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তবুও তারা টাকা দিতে অপারগ হলে সে তাদেরকে গালমন্দ করে নাজেহাল করে। বিষয়টি বীরকণ্ঠ প্রতিনিধি জানলে সে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্যামেরাম্যানের যাবতীয় তথ্য জানতে চায়লে সে বীরকণ্ঠ প্রতিনিধিকে ৫০ টাকা ঘোষ দিয়ে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু তিনি তা না নিয়ে তার অনুমতিপত্র দেখাতে বললে সে সটকে পড়ে।
পরে বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করলে, তারা তাকে ধরে আনতে বলে। কিন্তু সটকে গেছে জানতে পেরে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প লাইনের নাম্বারে কল দিয়ে পরবর্তী কোন সমস্যা হলে জানাতে বলে।
বিকালের দিকে আবারো তৈয়ব মোবাইল করে জানায় তাদেরকে শাহেদ নামে অন্য ক্যামেরাম্যান হেনস্তা করছে। কেন জানতে চায়লে আগের সটকে পড়া ক্যামেরাম্যানের টাকা দাবিতে সে হেনস্তা করছে বলে জানায়। বিষয়টি সাথে সাথে মোবাইল করে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সুরাহা করে অভিযোগকারী জানায়।
উল্লেখ্য যে, এ বছর রোহিঙ্গা আসার কারণে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকসহ বিদেশীদের ঢল নামে। তবে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা নানাভাবে হেনস্তা হচ্ছে বলে অনেক পর্যটক অভিযোগ করে। বিশেষ করে রিক্সার ড্রাইভার, টমটম ড্রাইভার, বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানকারী দালাল ও সমুদ্রের পাশে অবস্থিত কিছু কিছু দোকানদাররাও জড়িত থাকে বলে জানা যায়।
পর্যটকদের দাবি এসব ধান্দাবাজদের দমাতে না পারলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প দুর্নামের সম্মুখীন হবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন।