Faruque Khan Executive Editor
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৩ ২২:৩৪:১১ || আপডেট: ২০১৭-১২-২৩ ২২:৩৪:৩৯
মোহাম্মদ আইয়ুব, কক্সবাজার সদর প্রতিনিধি, বীরকণ্ঠ:
পর্যটন শহর কক্সবাজারের সৈকতে ভাড়াটে ক্যামেরাম্যানের হাতে প্রতিনিয়ত নাজেহাল ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে । আজ শনিবার দুপুরেও বীচের সুগন্ধা পয়েন্টে মোহাম্মদ তৈয়ব নামক এক মাদ্রাসার ছাত্র ও তার সাথে থাকা তিন বন্ধু ভাড়াটে এক ক্যামেরাম্যান কর্তৃক লাঞ্চিত ও হয়রানীর শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগের সত্যতা জানতে এ প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেলে ক্যামেরাম্যান ৫০ টাকা ঘুষ দিয়ে বিষয়টি দফারফা করার জন্য অনুরোধ করে । এতে সম্মতি না দিয়ে ক্যামেরাম্যানের ডাটা সংগ্রহ করতে চেষ্টা করলে ক্যামেরাম্যান দ্রুত পালিয়ে যায়।
পর্যটক তৈয়ব জানান, বার্ষিক পরীক্ষার শেষে সে এবং তার বন্ধুরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নৈসর্গিক সৈন্দর্য উপভোগ করতে আসে। তারা সুগন্ধা পয়েন্ট হয়ে সাগরে নামলে একজন ক্যামেরাম্যান তাদের তাদের পিছু নেয় । তার ক্যামেরায় ছবি তোলার বারংবার অনুরোধ করে তৈয়বদের ।
প্রতি ছবি ৫ টাকা করে মোবাইলের মেমোরিতে দিয়ে দেবার শর্তে তারা ছবি তোলে । কয়েকটি ছবি তোলার কথা বললেও , ক্যামেরাম্যান তাদের অজান্তে অনেকগুলো ছবি তোলে নেয় । পরে ১০০ ছবির মূল্য হিসেবে ৫০০ টাকা দাবি করে । এ নিয়ে বাক-বিতন্ডা শুরু হয় তাদের মাঝে । এক পর্যায়ে পর্যটক ছাত্রদের নাজেহাল, লাঞ্চিত ও গালমন্দ করে ক্যামেরাম্যান ।
এ বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবহিত করলেও কোন সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি তারা । পরে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প লাইনের নাম্বারে কল দিলে, পরবর্তী কোন সমস্যা হলে জানাতে বলে।
প্রসঙ্গত, এ বছর রোহিঙ্গা আসার কারণে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকসহ বিদেশীদের ঢল নামে। তবে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটকরা নানাভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছে বলে অনেক পর্যটক অভিযোগ করে। বিশেষ করে রিক্সার ড্রাইভার, টমটম ড্রাইভার, বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানকারী দালাল ও সমুদ্রের পাশে অবস্থিত কিছু কিছু দোকানদাররাও জড়িত থাকে বলে জানা যায়। এসব ধান্দাবাজদের দমাতে না পারলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে ধ্বস নামতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকে ।