Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ১৯:৫৯:৩৩ || আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ১৯:৫৯:৩৩
বীর কন্ঠ ডেস্ক:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের আশ্বাসে টানা তিনদিন পর অনশন ভাঙলেন বেতন ‘বেতন বৈষম্য’ নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত প্রাথমিক শিক্ষকরা।
সোমবার সন্ধ্যা ৫: ১০ দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালকের উপস্থিততে আন্দোলনরত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শরবত খেয়ে অনশন ভাঙেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। আন্দোলন করে সমস্যা সমাধান হবেনা। আপনাদের দাবি যৌক্তিক হলে আগামীকাল থেকে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা না, না বলে মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা আগেও আমোদের কে আপনাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বলেছেন। আমাদের কাছে হয়ত সেভাবে আসে নি। কিন্তু আজকে আপনাদের আন্দোলন গোটা জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
শিক্ষক নেতারা তখন আন্দোলনরত শিক্ষকদেরকে বলেন, মন্ত্রীর সাথে আমাদের কথা হয়েছে। এটি সময়ের ব্যাপার। আমরা আন্দোলনকে স্থগিত করছি, তবে প্রত্যাহার করছি না। এসময় শিক্ষকদের মধ্যে এটি নিয়ে মতবিরোধ দেখা হয়। অনেক তর্কবির্তকের পরে ৫. ৩৮ দিকে শিক্ষক নেতা শাহিনুর ও আনিসুল হককে শরবত খাওয়ায়ে অনশন ভাঙেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল ১০টায় ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের’ উদ্যাগে বেতন বেষ্যম্য দূরীকরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচী পালন করে আসছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে।
তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।