Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৫ ২০:৩১:১২ || আপডেট: ২০১৭-১২-২৫ ২০:৩১:১২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের খ্রিস্টান সম্প্রদায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা প্রতিবাদে বড়দিন উদযাপনের উৎসব আনুষ্ঠান বাতিল করেছে। শুধু ধর্মীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতা ও মধ্য রাতের প্রার্থনাতেই সীমাবদ্ধ রাখা হয় ক্রিসমাস উৎসব। খবর আল জাজিরা এরাবিকের।
আল জাজিরার প্রতিবেদক জিয়াফারা বুরাইদি বলেন, মধ্যরাতে যিশুর জন্মতিথি পালনে গতকাল রোববার সন্ধ্যার প্রথম প্রহর থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বেথলেহেম অভিমুখে শত শত ফিলিস্তিনির ঢল ছোটে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। তীব্র শীত ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেথলেহেমে যিশুর জন্ম নেয়া গুহা হিসেবে খ্যাত ক্রিসমাস চার্চে ফিলিস্তিনিদের ঢল নামে।
আল জাজিরার এই প্রতিবেদক আরও বলেন, এবার ক্রিসমাস উৎসবের প্রথম ও একমাত্র বার্তা হলো জেরুজালেম একটি মুসলিম ও খ্রিস্ট আরবি নগরী এবং ফিলিস্তিনের চিরকালীন রাজধানী ঘোষণা করা। বেথলেহেমের সড়ক ও এর অলিগলিতে এ দাবি সম্বলিত ব্যানারও ঝুলতে দেখা যায়। তিনি জানান, ফিলিস্তিনি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ পরিষ্কার বার্তা দিতে সমবেত হয়েছেন যে জেরুজালেম আরব শহর এবং মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যৌথ রাজধানী হিসেবে চিরকাল টিকে থাকবে।
আর্চবিশপ পিয়ের বাতিস্তা পিজাবাল্লার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মধ্যরাতে যিশুর জন্মলগ্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং মাল্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বহু বিদেশি কর্মকর্তা। এদিকে বহু ফিলিস্তিনি স্কাউট দল বেথলেহেম শহরের সড়কগুলো দেশাত্ববোধক গানে গানে মাতিয়ে তোলে।
বেথলেহেমে যিশুর জন্মলগ্ন অনুষ্ঠানে আর্চবিশপ তার আধ্যাত্মিক বক্তৃতায় শান্তির ওপর জোর দিয়ে ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দকে সাহসিকতা ও বাস্তবোচিত গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি এই পবিত্র নগরীর খ্রিস্টানদের এখানে বসবাস ও জীবনযাপন অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন। জেরুজালেমকে তিনি শান্তির নগরী হিসেবেও আখ্যায়িত করেন।