চট্টগ্রাম, , শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

Alauddin Lohagara

চট্টগ্রামে  চার নারীকে ধর্ষণের মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই

প্রকাশ: ২০১৭-১২-২৬ ২০:১৪:১৫ || আপডেট: ২০১৭-১২-২৬ ২০:১৪:১৫

বীর কন্ঠ ডেস্ক:

চট্টগ্রামে নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে চার নারীকে ধর্ষণের মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  এদের মধ্যে মিজান মাতব্বর নামে একজন মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন।

সিএমপির ব্যর্থতা স্বীকারের মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআই।  প্রথমেই মিজান মাতব্বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈন উদ্দিন দুজনকে আটকের কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সূত্রমতে, আটক হওয়া আরেকজনের নাম আবু সামা। আবু সামার তথ্যের ভিত্তিতে বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পিবিআই।

 

নাম প্রকাশে ‍অনিচ্ছুক পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা  বলেন, আবু সামার নেতৃত্বে পাঁচজন ঘরে ঢুকে ডাকাতি ও চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত।  এদের মধ্যে একমাত্র আবু সামা স্থানীয় আর বাকি চারজন এলাকায় বহিরাগত।

 

ঘটনার পর কর্ণফুলী থানা যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে তারা কেউই এর সঙ্গে জড়িত নয় বলেও জানিয়েছেন এই পিবিআই কর্মকর্তা।

 

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী  বলেন, চার নারীকে ধর্ষণের মামলায় মিজান মাতব্বর নামে এক আসামিকে পিবিআই আদালতে হাজির করেছে।  মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে আসামি জবানবন্দি দিচ্ছেন।

 

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা।  চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।

 

এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী।  তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন।

 

এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়।  ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

 

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার অগ্রগতি জানাতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার পর মামলা নেওয়া ও আসামিদের গ্রেফতারের কর্ণফুলী থানার আংশিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন সিএমপির উপ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী।

 

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এই সংবাদ সম্মেলনের পরদিন পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নিল এবং দুজনকে গ্রেফতার করল।- বাংলানিউজ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *