Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০২-১৬ ১৮:১৮:৩৫ || আপডেট: ২০১৮-০২-১৬ ১৮:১৮:৩৫
নিউজ ডেস্ক :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায়ের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও সরকারের নির্দেশে সার্টিফায়েড বা সত্যায়িত কপি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শুক্রবার সকালে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।এ সময় তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের অংশের জন্য অনুমতি চেয়েছে দলটি।
বিএনপির এই নেতা বলেন বলেন, ‘জাল-জালিয়াতি ও ঘষামাজা করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রহসনের রায় দিয়েছে সরকার। কারণ, মাত্র ১০ দিনের মধ্যে বিচারক ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় লিখেছেন। অথচ নিয়ম অনুসারে সাত দিনের মধ্যে আসামিপক্ষকে রায়ের কপি দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।’
‘সরকারের নির্দেশে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের কপি দেওয়া হচ্ছে না। নিশ্চয় সরকারপ্রধানের নির্দেশে মনগড়া রায় সংশোধন করা হচ্ছে। আর সে জন্য রায়ের কপি দিতে বিলম্ব করা হচ্ছে,’ যোগ করেন রিজভী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার ‘মাস্টারমাইন্ড’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বিশেষ দূত সাবেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ—এমন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার। তাই সরকারের নির্দেশে মিথ্যা সাজানো ও ঘষামাজা করা মামলায় তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করতে বর্তমান সরকার তাদের ‘আন্দোলনের ফসল’ ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের ‘অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত’ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির নেতা।
খালেদা জিয়ার মনোবল ভাঙতেই তাঁকে নির্জন কারাগরে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনো সাজা বা কারাবাস খালেদা জিয়ার মনোবল দুর্বল করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।