Alauddin Lohagara

পেকুয়া আ’লীগ নেতা ছৈয়দুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা : বিভিন্ন মহলের নিন্দা

চকরিয়া অফিস:

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দুল হককে (৪৫) মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে তাকে গ্রেফতারের জন্য বেশ কয়েকবার পুলিশ অভিযান চালিয়েছেন। অব্যাহত পুলিশের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা মাথা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগ ছৈয়দুল হক।

আওয়ামীলীগ নেতা ছৈয়দুল হক জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বিএনপি নেতা ফরহাদুল ইসলামের বসতবাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর, হামলা করা হয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। এঘটনায় পেকুয়া থানায় একটি মামলা করেছে। আমি আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। তাছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করছি। পাশাপশি আমি একটি চিংড়িঘের লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। কিন্তু আমার সফলতা দেখে প্রতিপক্ষরা ঈর্শান্তি হয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছেন।

 

তিনি আরও বলেন, ওইদিন মিথ্যা ঘটনার অযুহাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা ফরহাদ আমার মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। পেকুয়া থানা পুলিশ অতি উৎসায়ী হয়ে বিএনপি নেতার দায়েরকৃত মামলাটি নিয়েছেন। পুলিশের মধ্যে এখনো বিএনপি জামায়াতের প্রেতাœারা রয়ে গেছেন। তারা সুযোগ পেলেই আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হয়রানি করতে পিছ পা হন না। দ্রুত সময়ে মামলাটি প্রত্যাহার এবং পুলিশের হয়রানির বন্ধের দাবী জানান।

 

এদিকে ছৈয়দুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশি হয়রানির বন্ধের দাবি জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। তারা দ্রুত সময়ে এ মামলা প্রত্যাহার করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজম খান, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন বিএসসি, মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি খাইরুল এনাম, সাধারণ সম্পাদক রশিদ আহমদ, বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু শামা, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, সাধারণ সম্পাদক শাহজামাল, শীলখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেছি, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন আহমদ, রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম।