Alauddin Lohagara
প্রকাশ: ২০১৮-০২-১৮ ১৮:০৮:৪১ || আপডেট: ২০১৮-০২-১৮ ১৮:০৮:৪১
নিউজ ডেস্ক :
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য সারা দেশ থেকে অনলাইনে এবং সরাসরি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৫০টি আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৪৭০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ইকবালুর রহীম ও কামরুল লায়লা জলি বৈঠকে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ষষ্ঠ তালিকার কাজ শুরু করেছে। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করতে প্রতি উপজেলায় ৪৭০টি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তালিকা চূড়ান্ত না হলেও এ মুহূর্তে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৮৫ জন।
বৈঠকে মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ইতোমধ্যে ৩৭৩টি কমিটি হতে যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ৯৭টি কমিটির প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২৯ হাজার ৩৭২ জন আপিল আবেদন করেছেন। যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলে কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অর্ন্তভুক্তির সম্ভাবনা থাকবে না বা কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়বে না।
বৈঠকে ঢাকাস্থ সেগুনবাগিচাতে অবস্থিত মুক্তযোদ্ধা সংসদকে লিজ প্রদান করা সম্পত্তির লিজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ওই জমির সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে দেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি বৈঠক করে বিদ্যমান পুরনো আইন সংশোধনসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন নিয়ে কাজ করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে রাশিয়ার আদলে দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে দ্রুত প্যনোরমা ভবন নির্মাণকাজ শুরু করার পরামর্শ দেয়া হয়। – পরিবর্তন