চট্টগ্রাম, , শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

Alauddin Lohagara

পিলখানা ট্রাজেডির ৯ বছর আজ , কক্সবাজার বিমানবন্দরকে কাইছারের নামে করার দাবী

প্রকাশ: ২০১৮-০২-২৪ ২৩:৪৪:২৮ || আপডেট: ২০১৮-০২-২৪ ২৩:৪৪:২৮

 

মিজবাউল হক, চকরিয়া :

পিলখানা ট্রাজেডির ৯ বছর আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিডিআর (বিজিবি) দরবার হলে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে সেনাবাহিনীর অন্য সদস্যদের সঙ্গে ওইদিন নিহত হন কক্সবাজারের চকরিয়া কৃতি সন্তান শহীদ লে. কর্নেল আবু মুছা মো. আইয়ুব কাইছার। এইদিনে নানা কর্মসূচী পালন করবে তার পরিবার। পারিবারিক মসজিদে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও তবুরুক বিতরণ করা হবে।

লে. কর্নেল আইয়ুব কাইছারের বড় ভাই প্রকৌশলী মো. জহুরুল মওলা জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে তার নামে নামকরণের পাশাপাশি চকরিয়া জনপদে লে. কর্নেল আইয়ুব কাইছারের স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামে পৌরসভার সবুজবাগ-থানা সেন্টার সড়কটি তার নামে নামকরণ করার দাবী জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে সেনা হত্যা দিবস, দরবাল হলকে মিউজিয়াম, নিহত সেনাদের নামে নিজ জেলায় সড়ক বা সেতুর নামকরণ, ২৫ ফেব্রুয়ারি নিহত সেনাদের মা-বাকে সম্মানিত করার দাবী জানিয়েছেন।

জানা গেছে, লে. কর্নেল আবু মুছা মো. আইয়ুব কাইছারের জন্ম কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ওই গ্রামের মরহুম মাওলানা আবদুল খালেকের ৮ ছেলে মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৬২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তার জন্ম। লেখাপড়া শেষে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে যোগদান করেন।

পেশায় অসাধারণ কর্মদক্ষতার কারণে মাত্র ৬ বছরে তিনি মেজর পদে পদোন্নতি পান। ২০০৩সালে তিনি লে.কর্নেল পদে অভিষিক্ত হন। চাকরি জীবনে তিনি শান্তি মিশনে কুয়েত, মালয়েশিয়া, সৌদিআরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে ছিলেন।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে তিনি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় রক্ষানাবেক্ষন ও নির্মাণ শাখায় (একিউএমজি) পদে কর্মরত ছিলেন।

পারিবারিক সুত্র জানায়, বর্তমানে শহীদ লে.কর্ণেল আইয়ুব কাইছারের স্ত্রী মুশরাত জাহান পিনু তাদের দুই মেয়ে কারিশা মুশরাত ও জাফারিয়া কাইছারকে নিয়ে ঢাকায় সরকারিভাবে পাওয়া বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *